কলারোয়ায় সরকারি হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষা ড্রেনটি ময়লা- আবর্জনার স্তুপে ভরাট হয়ে বেহাল দশায় পরিনত হযেছে। ময়লা, আবর্জনার দূর্গন্ধে এলাকাবাসীর বসবাস ও কলারোয়া- সোনাবাড়িয়া রাস্তায় চলা পথচারীদের দূষিত পরিবেশে চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে।
পানি চলাচল অর্থাৎ ড্রেনের কোন কার্যকারীতা না থাকায় ড্রেনটি ভরাট হওয়ায়, সেই সুযোগে হাসপাতালের প্রধান গেটের পাশে সহ বিভিন্ন স্থান দখল করে ঝুপড়ি দোকান- পাঠ গোড়ে উঠেছে। রমরমা চলছে বাঁশের ব্যবসা।
হাসপাতাল সংলগ্ন ৪০০/৫০০ গজ দূরত্বের ড্রেনটির না আছে কোন কার্যকারীতা, না আছে পানি অপসারনের ব্যবস্থা! সে কারনে ড্রেনের এক অংশ যেমন ময়লা আবর্জনার স্তুপে ভরাট হয়ে গেছে, অপর অংশে শেওলা ও বিভিন্ন ধরনের ময়লা- আবর্জনা মিশ্রিত জমে থাকা পঁচা পানিতে ডেঙ্গু মশার লার্ভা জন্ম নেয়ার আশংকা প্রকাশ করছে এলাকার সচেতন মহল।
একদিকে ড্রেনের একপাশে জনস্বাস্থ প্রকৌশলীর অফিস, একাধিক ক্লিনিক, প্রাথলজি, এক্সেরে, ডায়াগোনেস্টিক সেন্টার, ল্যাব, ওষুধের দোকান সহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান স্থাপিত, অপরদিকে হাসপাতাল চত্বরে ডাক্তার ও কর্মচারীদের সরকারি আবাসস্থল (কোয়ার্টার) নির্মিত থাকায় জনবহুল এলাকায় ময়লা- আবর্জনায় পরিবেশ দূষনে জনজীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
এ ছাড়া ময়লার স্তুপে ভরা ড্রেনটিতে প্লাস্টিক ও পলিথিনের দ্রব্য থাকায় আরো বেশি আশংকিত কারন পলিথিন ৪০০ শত বছরেও পচনশীন দ্রব্য না হওয়ায় পরিবেশ দূষনে ক্ষতির সম্মুখিন হতেই হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতাল সংলগ্ন ড্রেনটি পৌরসভা এলাকাধীন হলেও সেটি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের আওতাধীন জায়গা। অর্থাৎ ওই জায়গার মালিক সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম জানান, ড্রেনটি ময়লা, আবর্জনা ও পানি জমে থাকায় এলাকায় পরিবেশ দূষনের আশংকা রয়েই গেছে, সেই সাথে হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে থেকে অবৈধভাবে ঝুঁপড়ি ঘর নির্মান করে যে ব্যবসায়ী স্থান গড়ে উঠেছে সেটিও সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানান।
একইভাবে এলাকাবাসী ড্রেনটি দ্রুত পরিস্কার করে হাসপাতালের দূষন মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সু- দৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেনর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড্রেনটি সব সময় পরিস্কার রাখার জন্য জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলা হয়েছে তবে আগামীতে ওই জায়গায় জেলা পরিষদের উদ্যোগে দোকান ঘর নির্মানের পরিকল্পনা চলছে বলে জানান।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]