সরস্বতী বিদ্যার দেবী তাই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সনাতন সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা সরস্বতী দেবীর আরাধনা করে থাকে। পূজার দিনে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা দেবীর পায়ের কাছে বই নিবেদন করেন, যাতে দেবী তুষ্ট হয়ে বিদ্যা দান করে থাকে। তারি ধারাবাহিকতায় প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই লক্ষ্য করা যায় সরস্বতী মায়ের পূজা। বিশেষ করে যে বাড়িতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী থাকে সে বাড়িতে এবং মন্দিরে এলাকাভিত্তিক সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
তাই আসন্ন সরস্বতী পূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কলারোয়ার প্রতিমাশিল্পীরা। বাড়িতে পাড়া-মহল্লায় প্রায় প্রতিটি স্থানেই সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই সকল প্রতিমার চাহিদা মেটাতে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা।
কলারোয়ার জয়নগর এলাকা ঘুরে একজন প্রতিমাশিল্পীরা সন্ধান পাওয়া গেছে, যিনি খুব সীমিত সংখ্যক প্রতিমা তৈরি করেছেন যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। জনবল ও অর্থের সংকট থাকায় স্বামী এবং স্ত্রী দুইজনে প্রতিমা তৈরি করছেন, এমনি ছবি উঠে এসেছেন কলারোয়া নিউজের ক্যামেরায়।
জয়নগরের প্রতিমা শিল্পী দুলাল চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী ঊষা চক্রবর্তী দুইজনে প্রতিমা তৈরীতে মহাব্যস্ত। মনের মাধুরী মিশিয়ে নিমিত্ত চিত্তে প্রতিমাতে মাটির প্রলেপ দিচ্ছেন এই প্রতিমা শিল্পী। মাটির প্রলেপ দেওয়া শেষ হলে শুকিয়ে গেলে শুরু হবে রঙ তুলীর আঁচড়। রং তুলির আঁচড়ে মাটির প্রতিমায় জীবন্ত দেবীর রূপ স্থাপন করবেন। দেখলে মনে হবে সরস্বতী দেবী স্বয়ং দাঁড়িয়ে আছেন ভক্তের সামনে।
প্রতিমা শিল্পী ঊষা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, স্বামীর দুর্দশা গোছাতে প্রতিনিয়ত স্বামীকে সাহায্য করে যান তিনি। প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে সাংসারিক নানা কাজে তিনি স্বামীর পাশে থেকে সাহায্য করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন স্বামী দুলাল চক্রবর্তীর মাঠে ৪ কাঠা ফসলি জমি রয়েছে, তা থেকে যে ফসল পান তা দিয়ে বছরের খোরাক মেটানোর দুরূহ ব্যাপার হয়ে ওঠে। তাই বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছেন প্রতিমা তৈরীর কাজ। সারাবছর বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা তৈরি করেন এবং স্বামী পুরোহিতের কাজ করে যা পেয়ে থাকেন তা দিয়ে অতি কষ্টের সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন কোনভাবে দুজনের সংসার।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]