সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্ত্রী রানু খাতুন হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলার প্রধান আসামি স্বামী মুজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার দিবাগত রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুজিবর কলারোয়া থানার গদখালী গ্রামের মো. ইমান আলী গাজীর ছেলে।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্প জানায়, ভিকটিম মোছা. রানু খাতুন (৩২) রঘুনাথপুর গ্রামের ছিদ্দিক আলী সরদারের কন্যা এবং আসামী মুজিবুর রহমান (৩৫) এর স্ত্রী। গত ১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সকালে ভিকটিম মোছা. রানু খাতুন এর সাথে আসামী মুজিবুর রহমান এর পারিবারিক কলহের জের ধরে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ভিকটিমের স্বামী আসামি মুজিবুর রহমান লোহার শাবল দিয়ে মাথার ডান পাশে স্বজোরে দুইটি আঘাত এবং নাকের নিচে একটি আঘাত করে রানু খাতুনকে হত্যা করে।
স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহতের মা মোছা. বেলফুল বেগম বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
ঘটনার পর থেকেই র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সকালে র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুজিবুর পলিয়ে শ্যামনগর থানায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ১৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ দিবাগত রাতে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মুজিবুরকে গ্রেপ্তার করে।
প্রকাশ থাকে যে, হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এবং মামলা দায়েরের ১০ ঘন্টার মধ্যে শ্যামনগর থানার সুন্দরবন সংলগ্ন ধুমঘাটা এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। উক্ত আসামি ভারতে পলায়নের জন্য অপেক্ষমান ছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে কলারোয়া হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]