কলারোয়ার উপজেলার সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের অনেকেই এখন গরু খামারের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
অনেকেই গাভীর খামারের দিকে ঝুঁকে পড়েছে, কেউ কেউ গরু মোটাতাজাকরণ করে, স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আবার অনেকে বড় ধরনের খামার প্রকল্পের জন্য কাজ শুরু করেছেন। ফলে অনেক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা যায় যে, কলারোয়ার উপজেলার গাড়াখলীতে সাইদুল ইসলাম ও মন্টু মিলে গড়ে তুলেছেন বড় ধরনের খামার। নিজেরা দেখাশুনা করার পাশাপাশি লোক রেখেছেন খামারের জন্য। তাদের খামারে ছোট বড় মিলিয়ে পঁয়ত্রিশ টির মতো গরু আছে।
কেঁড়াগাছির শফিকুল ইসলামের খামারে ছোট বড় মিলিয়ে চল্লিশের মতো। মেম্বার মহিদুল ইসলামের খামারে ত্রিশের কাছাকাছি, কামরুজ্জামানের খামারে বাইশের মতো গরু। সাংবাদিক আক্তারুজ্জামানের খামারে এগারোটা, বোয়ালিয়ার মন্টু মিন্টু দুই ভাইয়ের দুই খামারে চল্লিশের মতো গরু।
কাকডাঙ্গা আনারুল মহুরীর ও কাকডাঙ্গা দক্ষিন পাড়ায় আছে গাভীর খামার। কেঁড়াগাছির হচেন বিশ্বাস, মুনছুর আলী বিশ্বাস, ইমান আলী, রফিকুল ইসলামেরও রয়েছে খামার।
এছাড়াও কেঁড়াগাছি সহ কলারোয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় অনেক গরুর খামার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে অনেকে ঝুঁকে পড়েছেন গরু খামারের দিকে। বিষয়টি ইতিবাচক ও আশাব্যঞ্জক।
গরুর খামারের উদ্যোক্তারা বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে খামারিরা হবে লাভবান ও সুযোগ সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের।
খামারিরা জানান, ভারত থেকে গরু আনা বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় গরু আনা বন্ধ হলে দেশীয় গরুর কদর বাড়বে। সহজ শর্তে সরকারি ভাবে সুযোগ সুবিধা পেলে খামারিরা লাভবান হতে পারেন। তাতে করে দেশের বেকারত্ব কমাতে ও সীমান্তের চোরাচালান বন্ধে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে এই গরুর খামার।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, খামারীদের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দুয়ার সব সময় খোলা। যেকোন প্রকার সেবার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে অনেক খামার হয়েছে। আমি কয়েকটা পরিদর্শন করেছি। তাদের পরামর্শ দিয়েছি, প্রয়োজনে মোবাইলে কথা বললে সুপরামর্শ খামারীদের প্রদান করবো।
এদিকে, খামারের সাফল্য দেখে অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক এগিয়ে আসছে খামারের দিকে। তারা সুপরামর্শ ও সহজ শর্তে সরকারি ভাবে ঋন পেলে বেকার সমস্যার সমাধান ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে- এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]