কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের ৩জন ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে (কয়েক জন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে) ভাতা ভোগীদের মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (০৬ নভেম্বর) সকালের দিকে কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগেও এই ৩ জন জন ইউপি সদস্য এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, ইউএনও সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
তাদের দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১৫ কেজি চাল আমরা বিগত ৫ বছর যাবত পেয়ে আসছি কিন্তু বিগত ২ মাস ধরে তা পাচ্ছি না।
তারা আরো বলেন - বর্তমান চেয়ারম্যান আমাদের নাম কেটে সেখানে নতুন নাম বসিয়েছে বলে আমরা জানতে পারি।
এ বিষয়ে কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি মোরশেদ বলেন- আমি বর্তমানসহ ৩বার নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ২০১৬ সালে আমি প্রয়াত চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের নিকট পরাজিত হওয়ার সাথে সাথে আমার দেওয়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ার ২ মাসের মাথায় ১১৩০ জনের তালিকার মধ্যে ৮৩০ জনের নাম কেটে সেখানে তাদের মনঃপূত লোকের নাম অর্ন্তভুক্তি করে যাহা এখনো চলমান। আমি ২০১৬ সালে সাবেক চেয়ারম্যান হিসাবে সে সময়ে ঐ ৮৩০ জন হত দরিদ্র পরিবারকে সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও কলারোয়া ইউএনও মহোদেয়ের শ্বরনাপন্ন হয়েছিলাম তাতেও কোন প্রতিকার হয়নি।
অতিসম্প্রতি ভাতা ভোগীদের ডাটাবেইজ তৈরীর পাশাপাশি, ভিজিডি, ধনী পরিবার, এক পরিবারে একাধিক কার্ড, মৃতব্যক্তি, বিদেশে অবস্থান করা ভাতা ভোগীদের নাম পরিবর্তনের আদেশে বর্তমানে অনলাইন করার কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ শতাধিক ভাতাভোগীর ডাটাবেইজ তৈরী হয়ে গেছে তারা নিয়মিত চাউল উত্তোলন করছে। বাকীদের কাজ চলমান রয়েছে।
এর আগে এই ৩ জন ইউপি সদস্যরা তাদের পছন্দের কিছু লোকের নাম টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় "কেরালকাতা ইউনিয়নের ১১৩০ জন ভাতাভোগী খাদ্য বান্ধবের চাউল পাচ্ছে না" মর্মে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
সেই মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে আমার পরিষদের ৮ জন ইউপি সদস্য গত ৩ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নিকট দেখা করে এর প্রতিবাদ জানায়।
স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের সকলে দলমত নির্বিশেষে অসহায় দিনমজুর হতদরিদ্র প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর এই চাল পাওযার যোগ্য ও দাবিদার।
চেয়ারম্যান ভিপি মোরশেদ আরো বলেন আমি সকল কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]