কলারোয়ায় দফাদারের বিরুদ্ধে (গ্রাম পুলিশ) এক মহিলা মেম্বারের প্রতিবন্ধী স্বামীকে শাররীক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ১ নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায়।
এ বিষয়ে সুবিচার প্রার্থনা করে ইউপি সদস্য মোছা: হামিদা খাতুন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও প্রতাক্ষদর্শীরা জানান, গত (২৮ জুন) জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক অসহায়দের নামে বরাদ্ধকৃত ৬৩০ কেজি চাল চুরির একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলি বিশ্বাস বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
গত (৩ জুলাই) ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা তপন সাহা তদন্তকালে পরিষদ কার্যালয়ে ৪.৫.৬ নং (সংরক্ষিত) ইউপি সদস্য মোছা: হামিদা খাতুনকে উপস্থিত থেকে তদন্ত কাজে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের ডাকে তিনি মঙ্গলবার সকালে ইউপি কার্যালয়ে হাজির হয়ে চাল চুরির বিষয়ে তদন্ত কারী কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত ভাবে তার বক্তব্য দাখিল করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ও দফাদার (গ্রাম পুলিশ) মো: আলাউদ্দীন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। দুপুরের দিকে তদন্ত কর্মকর্তাগণ তদন্ত কাজ শেষ করে চলে যাওয়র সাথে সাথেই চেয়ারম্যান বিশাখার নির্দেশে গ্রাম পুলিশের দফাদার আলাউদ্দীনসহ তার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ইউপি কর্যালয়ের সামনে শতাধিক মানুষের সামনে তার প্রতিবন্ধী স্বামীকে শাররীক ভাবে লঞ্চিত করে।
এসময় সন্ত্রাসীরা ওই ইউপি সদস্যের স্বামীকে খুন জখম করা হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে কতিপয় ইউপি মেম্বার ও প্রতাক্ষদশীরা তার স্বামী মো: অমেদ আলীকে দফাদার আলাউদ্দীন গংদের হাত থেকে রক্ষা করে।
ইউপি সদস্য হামিদা খাতুন বলেন, তিনি গরীব হলেও সত। যা এলাকার সবাই জানেন। তার সততাকে ই্উপি চেয়ারম্যানসহ তার দালালরা সহ্য করতে পারে না। যে কারণে বার বার তাকে হয়রানী করা হয়। সর্বশেষ তারা তার স্বামীকেও শতাধিক মনুষের সামনে লাঞ্চিত করলো। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসকের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন। বিষয়টি জানতে চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]