প্রতিবেশীর চাষে উদ্ধুদ্ধ হয়ে থাই বারি-৮ জাতের পেয়ারা চাষ করে আশার আলো দেখছেন কলারোয়ার উপজেলা ধানদিয়া গ্রামের কৃষক শিমুল কুমার দাস। তার পরিবার ফিরে পেয়েছেন সুদিন। পাশাপাশি পেয়ারা বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে কয়েকটি পরিবারের।
খেতে সুস্বাদু, চাষের খরচ তুলনামুলক কম, বাজারে চাহিদা ও বেশ ভালো থাকায় পেয়ারা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের। অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়ারা চাষ সুবিধাজনক। এক চাষে ৫/১০ বছর ফলন পাওয়া যায়।
উপজেলার অন্যান্য কৃষকেরাও পেয়ারা বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করছেন। কৃষক শিমুল কুমার ৫০শতক কৃষি জমিতে শুরু করেছেন থাই বারি-৮ জাতের পেয়ারা চাষ। চাষ শুরুর পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাগান থেকে ফলন পেতে শুরু করেছেন। তার ৫০ শতক জমিতে ফলনশীল থাই জাতের পেঁয়ারায় ভরে গেছে গাছ। বাগানের ছোট ছোট গাছে থাই জাতের পেয়ারা বাতাসে দোল খাচ্ছে।
পেয়ারাকে পোকা-মাকড় ও ধুলাবালি থেকে রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাগিং পদ্ধতি।বছরের মাঝামাঝি সময়ে বেশি পেয়ারা ধরে কিন্তু সারা বছরই ফলন পাওয়া যায়। চারা লাগানোর দশ মাস পর থেকেই ফল পেতে শুরু করেন চাষীরা। অধিক ফলনে হাস্যউজ্বল চেহারায় বেজায় খুশি কৃষকরা। থাই পেয়ারা মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
পেঁয়ারা চাষী শিমুল কুমার দাস জানান, তিনি এলাকায় অন্য চাষীদের দেখে লাভজনক পেঁয়ারা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি আরও জানান, সারাবছরি গাছে পেঁয়ারা হয়, বাজারে চাহিদাও ভালো, এখন তিনি ৪০টাকা কেজি দরে পেঁয়ারা বিক্রি করছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]