সাতক্ষীরার কলারোয়ার পালপাড়া গণহত্যা দিবসে নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার ৯ শহীদের বিনম্র শ্রদ্ধা, গভীর ভালোবাসা ও ৪ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে।
কলারোয়া পৌরসভার উত্তর মুরারিকাটি পালপাড়ায় অনুষ্ঠিত সকল কর্মসূচি বুধবার (১মে) ভোগ মহোৎসবের মধ্য দিয়ে সমাপন করা হয়।
পালপাড়ার শহীদদের সমাধিস্থলের স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন ‘রাধা-গোবিন্দ’ মন্দির চত্বরে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের সন্তান, স্বজন ও সতীর্থরা বিদেহী আত্মার মঙ্গল কামনা করে ৪ দিনব্যাপী পালন করেন মঙ্গলাচার, মঙ্গল প্রদীপ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, ভগবত আলোচনা, ১৬ প্রহরব্যাপী অখণ্ড মহানাম সংকীর্তন ও ভোগ মহোৎসব।
কর্মসূচির তৃতীয় দিনে গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে শহীদ স্মৃতিসৌধে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় স্মৃতি সৌধে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।
সংসদ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, কলারোয়ার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে পালপাড়ার কুমার সম্প্রদায়ের শহিদ ৯ মুক্তিকামী কুম্ভকারের আত্মত্যাগের কথা চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ এ দিনটি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবেন।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলনকালে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন লাল্টু, অধ্যাপক শশীভূষণ পাল, প্রভাষক প্রদীপ পাল, উদযাপন কমিটির সভাপতি গোষ্ঠ চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক হরেন্দ্রনাথ পাল, মাস্টার প্রদীপ পালসহ উত্তর মুরারিকাটি পালপাড়া শহীদ স্মৃতি শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ভক্তবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, একাত্তরের ২৮ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক-হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন কলারোয়ার পালপাড়ার ৯ জন মুক্তিকামী কুম্ভকার। এরা হলেন: বৈদ্যনাথ পাল (৪৫), নিতাই পাল (৪০), গোপাল পাল (৪২), সতীশ পাল (৪৫), রাম চন্দ্র পাল (৪০), বিমল পাল (৪২), রঞ্জন পাল (৪০), অনিল পাল (৪৫) ও রামপদ পাল (৪২)।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]