দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু: শুভ বিজয়া দশমী। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা শেষ হবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। তাইতো মণ্ডপে মণ্ডপে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।
এ বছর দেবী দুর্গা আগমন করেছেন দোলায়। পালকি বা দোলায় দেবীর আগম গমনের ফলাফল হয় মড়ক, যা শুভ ইঙ্গিত নয়। এ ছাড়াও দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্রমতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হয়। এটি যুদ্ধ, বিগ্রহ, আশান্তি, বিপ্লবের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। দুর্গতি নাশিনী মহিষাসুর মর্দিনীর আরাধণা শেষ হলে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরবেন দেবী দুর্গা।
বছরান্তে দেবী দুর্গার আগমনে মন্দিরে মন্দিরে বেজে ওঠা ঢাক-ঢোল, ঘণ্টা আর শঙ্খধ্বনিতে, উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে আবহমান বাংলা। মন্দিরে মন্দিরে মন্ত্র উচ্চারণ আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শুভ শক্তির উদয় হয়।
কলারোয়ার বেশ কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মণ্ডপগুলোতে সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা দেখা যায়, যা বিকেলের দিকে ভিড়ে পরিণত হয়। বিশেষ করে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা নতুন পোশাকে পরিবারের সঙ্গে এসেছে। বাসায় ফেরার সময় মণ্ডপগুলোর বাইরে অস্থায়ীভাবে বসা দোকানপাট থেকে বাহারি সব খাবারসহ নানা ধরনের জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]