চা শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে সেই সাথে শরীরের নানা উপকার করে। একটা সময় বাঙালি চা খেতে বুঝতো না আর এখন সেই বাঙালির চা ছাড়া চলেই না, এক মুহুর্ত। তার বাস্তব চিত্র দেখতে হলে ভোর সকালে, বিকাল ও সন্ধ্যার টাইমে চায়ের দোকানগুলোতে লক্ষ্য করলে বোঝা যায়। বাঙালির কাছে চা কতটা প্রিয় হয়ে উঠেছে।
আরো ভালোভাবে চা প্রেমিদের দেখতে হলে আসতে হবে কলারোয়ার মফস্বলের বাজারগুলোতে। ছোট ছোট বাজারে অন্যান্য দোকানের তুলনায় চায়ের দোকান বেশি লক্ষ্য করা গেছে। মফস্বলের বাজার গুলোর পরিধি খুব একটা বড় না হলেও বাজারের পরিধির তুলনায় চায়ের দোকান অনেক বেশি দেখা যায়।
কলারোয়ার ধানদিয়া ও জয়নগর বাজারগুলোতে একটা জরিপ করে পাওয়া গেছে বাজারগুলোতে অন্যান্য দোকানের চেয়ে চায়ের দোকান বেশি দেখা গেছে। অলিতে গলিতে, পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন স্থানে চা প্রেমীদের জন্য গড়ে উঠেছে ছোট ছোট চায়ের দোকান। জয়নগর বাজারে জরিপ করে পাওয়া গেছে ১৩ টি চায়ের দোকান রয়েছে ছোট্ট এই বাজারটিতে। অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় চা ব্যবসায় লাভ বেশি হওয়ায় জয়নগর বাজার সহ অন্যান্য বাজারের ব্যবসায়ীরা চা ব্যবসায় ঝুকছেন। বেশ কয়েকজন চা প্রেমিকের কাছ থেকে জানা গেছে প্রতিদিন বিকাল থেকে রাতে বাড়ি যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত জন প্রতি ৫ থেকে ৭ কাপ চা খেয়ে থাকেন তারা।
জয়নগর বাজারের চা ব্যবসায়ী কেদার বিশ্বাস জানিয়েছেন, তিনি জয়নগর বাজারে ১০ বছর ধরে চা ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। জয়নগর বাজারে চা ব্যবসায়ী ছিল হাতে গোনা দুই একজন। অন্য ব্যবসার তুলনায় চায়ের ব্যবসায় লাভ বেশি হওয়ায় অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি চা ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়ছেন এই বাজারের ব্যবসায়ীরা।
জয়নগর বাজারের আর একজন প্রবীণ চা ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে জয়নগর বাজারে চা বিক্রির সাথে জড়িত আছেন। গত ৪০ বছর আগে জয়নগর বাজারে দুই থেকে তিনটা চায়ের দোকান ছিল। বর্তমানে চায়ের দোকানের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩টি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]