মধু মাসে ,মধু ফল বারো মাসে বারো ফল ,এক মাসে তেরো ফল কবির এ বানীর একটি ফল বুনো খেজুর, কলারোয়ার মাঠে মাঠে গাছে গাছে বুনো খেজুরের সমরোহ। মাঠে যেদিকে তাকাই সেই দিকে বুনো খেজুর কলারোয়ায় গ্ৰাম্য শিশুদের কাছে প্রিয় ফল বুনো খেজুরের এবছর ফলন ভালো হয়েছে। মাঠে মাঠে গাছে গাছে হলুদ রঙে দেশীয় খেজুরের কাঁদিতে ভরে গেছে। কয়েক দিন ধরে পাকতে শুরু করেছে। দেশীয় খেজুর শিশুদের কাছে সুমিষ্ট ফল। খেজুর এ দেশের একটি অন্যতম প্রাচীন ফল।
দেশীয় খেজুরকে কেউ কেউ বুনো খেজুর নামে ডাকেন। কেননা এটা কেউ চাষ করে না। এ দেশের বন জঙ্গলেই গাছটি প্রধানত জন্মে থাকে। সাধারণত পতিত অনুর্বর জমিতে, বাঁধের ধারে, পুকুর পাড়ে, জমির আইলে, বাড়ি ও বাগানের চারদিকে, পথের দুই পাশে সারি করে খেজুর গাছ লাগানো হয়। তবে তা ফলের জন্য নয়, রসের জন্য। গাছের মিষ্টি রস জ্বাল দিয়ে তা থেকে গুড়পাটালি তৈরি করা হয়। এ দেশে খেজুরকে গুড় উৎপাদনকারী ফসল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শীতের দিনে নলেন গুড়ের স্বাদ সবার কাছেই লোভনীয়। খেজুর যেহেতু অন্যান্য ফসলের মতো ব্যাপকভাবে চাষ করা হয় না, বসতবাড়ি, মাঠ, রাস্তার ধারে জন্মে। তাই ঠিক কতটুকু জমিতে খেজুরের আবাদ হচ্ছে তার হিসাব কষা মুশকিল। সবচেয়ে বেশি খেজুর গাছ আছে রাজশাহী, নাটোর ও যশোরে।
এবছর কলারো উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক আকারে হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দেশি খেজুরের চাষ সম্প্রসারণে ইতোমধ্যে একটি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সাধারণত গাছেই কাঁদিতে দেশি খেজুরের ফল পেকে ঝরে পড়ে, সংগ্রহ করা হয় না। সব ফল একসাথে পাকে না। কয়েক দিন ধরে পাকতে থাকে। ফল পাকার সময় গ্রীষ্মকাল। পাকা ফল পাখিরা খায়। ফল মাটিতে ঝরে পড়ে সেখানেই প্রাকৃতিকভাবে চারা তৈরি হয়। খাওয়ার জন্য ফলের রঙ সবুজ থেকে হলুদ হলে কাঁদির পাটি কেটে কাঁদিসহ সংগ্রহ করা হয়। ঘরে রেখে দিলে ২-৩ দিনের মধ্যে সেসব পরিপক্ব ফল পাকতে শুরু করে। পাকলে ফলের শাঁস নরম হয় ও লালচে মেরুন রঙ ধারণ করে। একটি গাছ থেকে ১০-২৫ কেজি ফল পাওয়া যায়। এ খেজুর বেশি সুস্বাদু না হলেও এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে আছে মানবদেহের উপকারী উপাদান পটাশিয়াম সল্ট ও খনিজ লবণ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]