এস এম ফারুক হোসেন : সাতক্ষীরার কলারোয়ার রামভাদ্রপুর গ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। কলারোয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আনুমানিক সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন ও থানা পুলিশ জানায়।
সোমবার (৪ মার্চ ) দুপুর দুইটার দিকে কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রাভদ্রপুর উত্তর পাড়া এলাকায় খাদিজা খাতুনের বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দনপুর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান খান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে ছায় হয়ে গেছে খাদিজা খাতুনের বসতঘর কোন মানুষের ক্ষতি হয়নি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান তারা। এবং কলারোয়া থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ফায়ার সার্ভিস এর অফিস থাকায় আসতে দেরি হলেও তাদের আগুন নেভানোর কর্মকাণ্ড দেখে এলাকা বাসি খুশি তাদের কারণে আশপাশের বাড়িগুলো নিরাপদ।
চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ডালিম হোসেন বলেন, ঘটনা শুনে আমি গ্রাম প্রতিরক্ষা পুলিশকে (চৌকিদার) সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে কলারোয়া ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। খাদিজা খাতুনের ঘরে কেউ ছিলো না। তবে আগুন খাদিজা খাতুনের রান্না ঘরের বন্ধু চলার পাশে থাকা কাট থেকে আগুন ঘরের লেগেছে। ঘরে অনেক জিনিসপত্র ছিল। জিনিসপত্র ছিল সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, অসহায় খাদিজা খাতুনের বসতঘর আগুন লেগে সবাই আসবাবপত্র পুড়ে ছায় হয়ে গেছে। দুঃখ জনক ঘটনা দুই শিশু বাচ্চা নিয়ে আবার নতুন ঘর তৈরি করে যাতে বসবাস করতে পারে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ করেন।
খাদিজা খাতুন বলেন, রান্না করার সময় অসাবধানতার কারণে ঘরে আগুন লেগে ঘর পুড়ে গেছে। ঘরের মধ্যে থাকা ফ্রিজ ও বিভিন্ন দামি আসবাবপত্র সব জিনিস পুড়ে আগুনে ভস্মমত হয়ে গেছে
আনুমানিক প্রায় সাঁড়ে৩ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
কলারোয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭ জন কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ৪০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত । তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে এলাকায় জনগন, চেয়ারম্যান ইউ পি সদস্য, সাংবাদিক সহ সকলে মিলে মিশে কাজ করার কারনে পাশের ঘর গুলো আগুন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনা শুনে কলারোয়া থানার এস আই হাবিবুর রহমান খান ও এস আই গৌরঙ্গ, চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ডালিম হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম মনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]