কলারোয়া উপজেলায় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ১০টি ইউনিয়নের নির্বাচন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময় আছে আর মাত্র পাঁচ দিন। প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে। এই নির্বাচনে দলীয়ভাবে কোন প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। চেয়ারম্যান পদে প্রতিটি ইউনিয়নেই রয়েছে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী। এ নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা বাড়ছে। যে কোন উপায়ে জনপ্রতিনিধি হতে মরিয়া সবাই। হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সহিংসতার অভিযোগে ২জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ। যেসব নেতাকর্মী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ও নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে কাজ করছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। দলীয় প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ না নিলে তাদের বহিস্কার করা হবে বলে হুশিয়ার করা হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও সতর্কতার পরও বিদ্রোহ দমন হচ্ছে না। তাই ভোটের মাঠ দখল রাখতে ও জিততে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
এদিকে ৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী সহিংসতায় কলারোয়া উপজেলার ৫নং কেড়াগাছি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ভুট্টো লাল গাইন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মারুফ হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিল হোসেন সমর্থকদের মধ্যে ওই দিন সংঘর্ষে নৌকার প্রার্থী সহ ১৫ জন আহত হয়। কয়েকটি প্রচারণার অফিস ও গাড়ি মাইক সেট ভাংচুরের ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ রয়েছে। দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে টানটান উত্তোজনা বিরাজ করায় এলাকায় পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর উপজেলার ৩নং কয়লা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী মাস্টার আসাদুজ্জামান বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানার নির্বাচনী প্রচারনায়- প্রচারণার গাড়িচালকে প্রকাশ্যে লাথি মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
এ ঘটনায় সোমবার সোহেল রানা বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোরঞ্জন বিশ্বাস বরাবর দরখাস্ত করা হয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে দেয়াড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো. ইব্রাহিম এর মোটরসাইকেল প্রতীকের ইজিবাইক প্রচার মাইক ভাংচুর ও চালকের মারপিট করে দুবৃর্ত্তরা।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩৮ জন। ৯১ টি ওয়ার্ডে মেম্বর প্রার্থী রয়েছেন ৩৮৫ জন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। এবারে ইউনিয়নগুলোতে মোট ভোটার সংখ্যা ১লাখ ৪৪ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৭৭৪ জন ও নারী ৭২ হাজার ৬৯৬ জন। যেসব ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে সেগুলো হল- জয়নগর, জালালাবাদ, কয়লা, লাঙ্গলঝাড়া, কেড়াগাছি, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর, হেলাতলা, দেয়াড়া ও যুগিখালি। এরমধ্যে কলারোয়া হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে।
কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ছাড়া,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নিবাচনে প্রতিযোগীতা থাকবে কিন্তু সেটা হতে হবে পরিচ্ছন্ন, মারামারি কিংবা বিশৃঙ্খলা কখনো কাম্য নয়
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]