কৃষি প্রধান দেশের কৃষি ও কৃষক দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বিরাট ভুমিকা রাখে। কৃষক চাষ করে নিজে সমৃদ্ধি অর্জন করে অপর দিকে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলে তাই তো কবি তার কবিতার ভাষায় লিখেছেন- সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা। স্বপ্ন ও সাধনা দিয়ে কৃষক জমিতে ফসল আবাদ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে অবশিষ্ট অংশ বাজারে বিক্রিকরে অর্থাভাব কাটিয়ে ওঠে।
চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধান আবাদে কৃষকের নানা প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যো দিয়ে নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে বড় করেছেন ইরি ধান। কিছু দিন আগে ধানের ব্লাষ্ট রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিলো সারা মাঠে, ব্লাষ্ট প্রতিরোধে সফল হয়ে কৃষক তার জমির ধান হাস্যউজ্বল মাঠে পরিনত করেছে। কৃষকের স্বপ্ন বাস্তবে পরিনতি পেতে সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে ঝড়, বৃষ্টির কারণে চলতি মৌসের ধানের ক্ষতির আশংখ্যা করছেন কৃষকেরা। সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারলে বিঘা প্রতি ২০/২২ মন কাটা প্রতি পাবেন বলে আশা করছেন কৃষকেরা।
এবছর ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা করছেন কৃষকেরা। ফলন ভালো, ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করা গেলে ধান ও বিচালিতে পুশিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
কলারোয়ার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিনা বাতাসে দোল খাচ্ছে সদ্য ধান গাছে বেরোনো ধানের শিষ, কৃষকের সাধনার ফসল। সৌন্দর্যের সমাহার দেখে যে কারও হৃদয় আনন্দে ভরে উঠবে। যে দিকে দুচোখ যায় সবুজ ধানের ক্ষেত বাতাসে দোল খাচ্ছে।
জয়নগরের কৃষক শুভঙ্কর মন্ডল জানিয়েছেন, এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করছেন আবহওয়া অনুকুলে থাকলে সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারলে চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে খরচ হয় ১০/১৫ হাজার টাকার মত আর বিঘা প্রতি ভালো ফলন হলে ২০/২২ মন যার বাজার মুল্য ২৫/৩০ হাজার টাকার মত।
জয়নগরের অপর এক কৃষক স্বরজিত দাস জানিয়েছেন, তিনি ১০ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করেছেন, ফলনও ভালো। আবহওয়া অনুকুলে থাকলে সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারলে মোটা অংকের টাকা প্রাপ্তির সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কলারোয়ার কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম, জানিয়েছেন- চলতি মৌসুমের ইরি ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে, ব্লাষ্ট রোগটি খুব একটা ক্ষতি করতে পারেনি ধানের যার কারণে ভালো ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় লক্ষমাত্রা ছাড়াতে পারে বলে ধারনা করছেন তিনি আরও জানিয়েছেন এ বছর কলারোয়ায় ইরি-বোরো ধান ১২ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে চাষের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]