মোস্তফা হোসেন বাবলু: কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে থাকার কারণে সেবা নিতে আসা রোগীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে রোগী ও তাদের স্বজনরা। ৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিয়মিত। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কলারোয়া উপজেলা। এ উপজেলায় ওয়েব সাইট তথ্য অনুযায়ী প্রায় ২৩৭৯৯২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র স্থান এই হাসপাতাল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের মোট পোস্ট ২১টি। এরমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ১জন, মেডিকেল অফিসার ২জন, ডেন্টাল সার্জন ১জনসহ মোট ৫জন কর্মরত। এরমধ্যে ১জন ফাউন্ডেশন ট্রেনিং আছেন। এরমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঠিকমতো অফিসে থাকতে পারেন না, যেদিন থাকেন সেদিনও ঠিকমতো সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবাও দিতে পারেন না। ফলে বর্তমানে ৩জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে জনবহুল এ উপজেলার হাসপাতালটি। কাগজেকলমে ৪জন থাকলেও বাস্তবে মাত্র ৩জন ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসাসেবায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে নার্সদের উপর পড়েছে অতিরিক্ত চাপ।
জানা গেছে- হাসপাতালে সিজারিয়ানের ব্যবস্থা থাকলেও বিশেযজ্ঞ গাইনি ডাক্তার না থাকায় সাধারণ গরীব গর্ভবতী মায়েদের বাইরের প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করতে হচ্ছে। এতে তাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে বলে মনে করেন ভোক্তভুগিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে- হাসপাতাটিতে সবসময় ধারণক্ষমতার বেশী রোগী ভর্তি আছেন। এতে তাদের চিকিৎসা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে হাসপাতালে যথাযথ সেবা না পেয়ে অনেক রোগী চলে যান স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে। এর ফলে সাধারণ গরীব মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার বলেছেন ভোক্তভুগিরা।
হাসপাতালে ৪ জন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন ২জন। ইতোমধ্যে তাদের চাকরীর বয়সও শেষের দিকে, অর্থাৎ ২০২৫ সালের শেষে শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশিষজ্ঞ চিকিৎসক ও জনবল সংকট থাকার কারণে এ জনবহুল উপজেলার মানুষ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে সুশিলসমাজ ও রাজনৈতিক শিক্ষিত সমাজের ব্যক্তিবর্গ বলেন।
এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নীতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন- আমিসহ ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে সঠিক সেবা দিতে আমাদের খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডাক্তারের প্রয়োজন।
ডাক্তার সংকট এর সমাধান না হলে চিকিৎসা সেবার ব্যহত হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জহুরুল ইসলাম বলেন- বিষয়টি আমি জেলা মিটিং এ আলোচনা করেছি। দ্রুত সময়ে সমাধান হবে বলে আশা করি।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন- সকল উপজেলায় ডাক্তার সংকটে আছে। আশা করি আগামি এক মাসের মধ্যে ডাক্তার সংকট কেটে যাবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]