কলারোয়া গৃহবধু হত্যার ঘটনায় ৭জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি করেছেন-সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার আবাদচন্ডিপুর গ্রামের মৃত কফিলউদ্দীন গাজীর ছেলে সামসুর গাজী। তিনি গত (২০জুন-২০২৩) সকালে ৩০২/ ৩৪/ ৫০৬ দ:বি: ধারায় সাতক্ষীরার বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-সিআর-২০৩/২৩।
এই মামলার আসামীরা হলো- উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ মনিরুল হুদার ছেলে মানিক, মৃত কানাই শেখের ছেলে শেখ আব্দুল হাই, জালালাবাদ গ্রামের আবু দাউদ এর ছেলে তরিকুল ইসলাম, মির্জাপুর গ্রামের রাশেদুজ্জামানের ছেলে নয়ন হোসেন, শ্রীপুতপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলাম ধাবকের ছেলে মারুফ হোসেন, শেখ
মনিরুল হুদার ছেলে বিপ্লব হোসেন ও শেখ আমজাদ হোসেনের ছেলে শেখ সবুজ।
মামলার বাদী সামসুর গাজী বলেন-তার কন্যাকে ইসলামিক সরিয়াত মোতাবেক কলারোয়া উপজেলার আলহাজ্ব আব্দুল হাই এর ছেলে আহসান ওরফে হাসান এর সাথে বিবাহ দেন। বিয়ের পর থেকে তাদের কোল জুড়ে একটি কন্যা সন্তান ও একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তাদের সংসারও ভাল চলছিলো।
তিনি আরো বলেন-তার জামাই একটু হাবাগোবা প্রতিবন্ধী টাইপের। কিন্তু জামাই এর প্রায় ১২/১৪ কোটি টাকার
সম্পদ আছে। সেই কথা চিন্তা করে আমার কন্যাকে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে আমার কন্যা ফতেমার উপর কু-নজর পড়ে শেখ মানিক ও শেখ আব্দুল হাই এর। এর পর থেকে তারা বিভিন্ন সময় খারাপ কথা বলে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে তার কন্যা তাদের কথায় কান না দিয়ে জমি জমা দেখা শুনা শুরু করে। এতে তারা জমি ফাকি
না দিতে পেরে আমার কন্যাকে দুনিয়া থেকে সরাইয়া দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে।
এক পর্যায়ে ঘটনার দিন আমার কন্যাকে আসামীদ্বয় দলবদ্ধ হয়ো লাঠি সোটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গলা টিপি ধরে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি ভিন্নখাতে
প্রবাহিত করতে ঘরের পিছনে আমগাছে ঝুলাইয়া দেয়। বর্তমানে মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডি কে ৯ আগষ্ট-২৩ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]