কলারোয়ায় আনন্দ মেলার নামে রক্তচুষা অবৈধ লটারীর নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর দৌড়ঝাঁপ শুরু করছে মেলার পরিচালক স্বপন। আনন্দ মেলায় অবৈধ লটারী যাতে বন্ধ না হয় এজন্য সে বিভিন্ন মহলে ছুটছে দিন-রাত।
কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফেরি করে লটারীর টিকেট বিক্রি করছে অর্ধশত ইজিবাইক। এসব লটারী কিনে প্রতারিত হচ্ছে হাজারো মানুষ। সেই সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বাড়ছে কলারোয়ায় বিভিন্ন প্রান্তে। এছাড়া মেলার ৮-১০টি স্টলে চলছে অবৈধ লটারি বিক্রি। যার কারণে ইতিমধ্যে সর্বশান্ত হতে শুরু হয়েছেন অনেকে। পারিবারিক অশান্তি দেখা দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে। ২০ টাকা মূল্যের এই লটারীতে দেওয়া হচ্ছে মোটরসাইকেল সহ নানা পুরস্কারের প্রলোভন। এসব লটারীর মূল ক্রেতা রিকশা-ভ্যানচালক, চা দোকানদার, মুদি দোকানদার, দিনমজুর সহ নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, কলারোয়ায় মাসব্যপী আনন্দ মেলা শুরুর দিন থেকেই অনুমোদনহীন লটারীর ব্যবসা শুরু করে আয়োজক কমিটি। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার লটারী বিক্রি করে নামমাত্র মূল্যে মোটরসাইকেলের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। ২০ টাকায় লোভনীয় সুযোগ নেওয়ার জন্য দিনের সব আয় লটারীতে খরচ করার পর রাত শেষে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে সাধারণ মানুষ।
সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে অর্ধশত ইজিবাইক লটারীর টিকেট বিক্রি করছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। প্রশাসনের চোখের সামনে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার লটারীর এই ভেলকিবাজি খেলা চলছে।
মাসব্যাপী আনন্দ মেলায় এই অবৈধ লটারীর পরিচালক খুলনা সোনাডাঙ্গার স্বপন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কেবলমাত্র মেলার লটারী শুরু করেছি। আপনারা সহযোগিতা করলে একমাস চালাতে পারবো।
আনন্দ মেলায় অবৈধ লটারীর বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস জানান, আমি আনন্দ মেলা আয়োজক কমিটির সাথে কথা বলছি কোন অবৈধ লটারী চললে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]