কলারোয়া উপজেলার ২নং জাললাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এর বিরুদ্ধে ভিজিএফ কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ এনেছেন ঐ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম।
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বরাবর এক অভিযোগ পত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
অভিযোগ পত্রে ইউপি সদস্য মনিরুল বলেছেন, গত ১৩ এপ্রিল/২০২২ ইং তারিখ ২নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মাসিক বৈঠকে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান পরিষদের সদস্যদেরকে জানান, "সরকার অত্র ইউনিয়নের জন্য এবার ৫০০ ভিজিএফ চালের কার্ড বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০০ ভিজিএফ কার্ড আমি (চেয়ারম্যান) বিতরণ করবো। বাকী ৪০০ কার্ড আপনারা ইউপি সদস্যগণ সমন্বয় করে বিতরণের ব্যবস্থা নিবেন"।
চেয়ারম্যান মাহফুজের এমন প্রস্তাবের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ইউপি সদস্য মনিরুল এর প্রতিবাদ করে জানতে চান আমরা কিভাবে সমন্বয় করবো?
ইউপি সদস্যের এমন বক্তব্য শুনে চেয়ারম্যান কোন সদুত্তর না দিয়ে রাগান্বিত হয়ে বৈঠক ছেড়ে চলে যান।
পরে ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মাহফুজের বিরুদ্ধে কলারোয়া চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ নামা দায়ের করতে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গেলে, সেখান থেকে সে জানতে পারে ভিজিএফ কার্ডের সংখ্যা ৫০০ নয়, ২নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের জন্য মোট ৬৪০টি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ভিজিএফ চালের কার্ড নিয়ে চেয়ারম্যান মাহফুজের বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের অভিযোগ এনে ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করে কার্ড বিতরণে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অত্র ওয়ার্ডে প্রকৃতস্থদের মাঝে ভিজিএফ কার্ড বিতরণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানান।
ভিজিএফ চালের কার্ড নিয়ে ২নং জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা মিললে পরিষদের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান জানান, বিষয়টি সত্য নয়্ নিছক আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র আর কিছুই নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, এ ব্যাপারে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, আ.লীগ ঘরণার মাহফুজুর রহমান গেলো নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দায়িত্বে গ্রহনের পর থেকে ইতোমধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী কর্মীকে হেনস্তা, হুমকি-ধামকি, মারামারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তান্ডবসহ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]