কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট খোরদো সড়কের প্রায় অর্ধশত গাছ ওই সময় ঝড়ে পড়ে যায়।
লক্ষ লক্ষ টাকার এসব গাছের ডাল কেটে চলাচলের জন্য রাস্তা পরিস্কার করা হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে একের পর এক গাছ কেটে নিধন করা হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই। ৬ ডিসেম্বর রাতে কলাটুপি মোড় সংলগ্ন সড়কের গাছটি কুড়াল দিয়ে গোড়া কেটে খাড়া করে রাখা হয়েছে। কে বা কারা এই গাছটি কেটেছে সে কথা কেউ বলছে না।
কলাটুপি রাস্তার পাশের বাড়ি ঘরের লোকজন মুখ খুলছে না। নাম প্রাকশে অনিচ্ছুক কলাটুপি গ্রামের সরদারপাড়ার ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জানান, এই পাড়ার লোকজন এসব গাছের ডাল পালা কাটছে। এই গাছ কাটার সাথে এই গ্রামের ও পাড়ার লোকজন জড়িত আছে। রাস্তার দুই পাশে গাছের মুড়ো আছে, গাছ নেই। এই এলাকার লোকজন রাস্তার গাছ কেটে বাজারে বিক্রয় করেছে। বাইরের লোকজন বাড়ির সমনের গাছ কাটতে সাহস পাবে না। রাস্তার গাছের ডালপালা কেটে প্রথমে মুড়ো করা হয়।
এর পর সুযোগ বুঝে গাছ কেটে বিক্রয় করছে। এভাবে একের পর এক সরকারি গাছ নিধন করা হচ্ছে। সরকারি গাছের ডালপালা গাছ কর্তনকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে এগিয়ে আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গ্রামের শান্তি প্রিয় সচেতন মহল গাছ কাটায় বাঁধা দিয়ে ঝামেলায় জড়াতে চাইছে না। রাস্তার গাছ রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। যত দিন যাবে ক্ষতির পরিমান বেশি হবে। তাই দেরি করা যাবে না। এভাবে গাছ নিধন হতে থাকলে সমনের দিনে রাস্তার অর্ধেক গাছ খুজে পাওয়া যাবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন কি? সচেতন মহলের দাবি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]