কলারোয়ার চিতলা বটতলায় বটগাছ কর্তন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের
চিতলা গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন বটগাছ কর্তনের জন্য ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে স্থানীয়রা জানায় কলারোয়া উপজেলার চিতলা গ্রামের বটতলা নাম করণ হয়েছিল কয়েক যুগ আগে একটা প্রাচীন বটগাছ থাকার সুবাদে। ঠিক তখন থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সেখানে পূজা অর্চনা করতেন এই বটগাছের নীচে ।
প্রায় বছর দশেক পূর্বে মৌমাছির মধু সংগ্রহের সময় স্থানীয় চিতলা গ্রামের করিম সরদারের পুত্র আব্দুল গফুর সেই গাছে আগুন দিলে গাছটি পুড়ে যায়। সংখ্যা লঘুদের চাপের মুখে সেখানেই আর একটি বটগাছ লাগানো হয়। সেই গাছের নীচেই সনাতনেরা পূজা অর্চনা করে আসছে। কিন্তু গত শুক্রবার ২০ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম পার্শ্ববর্তী জমির মালিক চিতলা গ্রামের মৃত মান্দার মোড়লের পুত্র নিসার আলীর পাল্টা পাল্টি কলা গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে রাস্তার জমি পরিমাপের সময় গাছটি কেটে ফেলার আদেশ দেন এবং চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেই সেই বটগাছটি কর্তন করে ফেলার অভিযোগ সনাতনধর্মের লোকেদের।
গতকাল শুক্রবার গাছটি কেটে ফেলার পর থেকেই স্হানীয় চিতলা গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও প্রতিবাদী মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
চিতলা গ্রামের পূজাঅর্চনা পরিষদের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস সাংবাদিককে বলেন- আমরা ১৫/১৬ টি পরিবারের মানুষ দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরেই সরকারী রাস্তার পাশে চিতলা বটতলায় পূজাঅর্চনা করে আসছি,কিন্তু গতকাল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসলামের আদেশে সরকারী রাস্তার জমিতে থাকা সেই বটগাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। এতে করে পরিকল্পিত ভাবেই আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। সে সময়ে সেখানে উপস্থিত সকল সনাতনধর্মের লোকজন বটগাছ কাটার বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে এর বিচার দাবী করেছেন।
এছাড়াও বটতলা মোড়ের দোকানে অবস্থানরত সকল ধর্মের লোকজন আদিকাল থেকে বটতলা নামে পরিচিত স্হান থেকে বটগাছটি কেটে ফেলায় নিন্দা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন - এই বটগাছটি সরকারী রাস্তার জমিতে নয়। নিসারের জমির উপর দিয়ে রাস্তা যাওযার কারণে নিসারই এই জমি ভোগ দখল করছে। যার জমিতে গাছ আছে তাদের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলে এই বটগাছটি কেটে ফেলেছে। চেয়ারম্যান আরো বলেন এই বটগাছটি আমি লাগিয়েছিলাম। এখানে কোন পূজা করা হয়না।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]