নিজের এলাকার সহ অন্যান্য এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কৃষি মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ কালাম।
দীর্ঘ ১৫ বছরের অধিক কাল যাবত লোহাকুড়া, মাহমুদপুর, লাঙ্গলঝাড়া, রুদ্রপুর, গদখালি, ঝিকরা, গণপতিপুর সহ ১৫টি গ্রামের ৫ হাজার একর জমি প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধ থাকে। সেই জলাবদ্ধতা নিরসণে রুদ্রপুর খাল হতে বেত্রাবতী নদী পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ৫ হাজার একর জমি ফসলের আওতায় আনা সম্ভব।
এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির অন্যতম কারণ বর্ষা মৌসুমের জলাবদ্ধতা। আর সেই জলাবদ্ধতার কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এমএ কালাম।
যার ভাবনা, ক্ষমতা পেয়ে চেয়ারে বসে থাকা নয়, মানুষের জন্য কাজ করা, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নিজেকে কিভাবে বিলিয়ে দিতে হয় সেটি তাকে দেখলেই বোঝা যায়।
তিনি একজন ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে এলাকার মানুষের দুর্দশা ঘোচাতে ১৯ জানুয়ারি বুধবার কৃষি মন্ত্রীর দপ্তরে হাজির হয়ে কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাককে জানালেন এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা।
জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকের ফসলের চরম ক্ষতি হচ্ছে, এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষের জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতি এড়াতে জলাবদ্ধতা নিরসনের বিকল্প নেই, তাই রুদ্রপুর খাল থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি বেত্রাবতী নদীতে আসবে- এমন ব্যবস্থাকল্পে কৃষি মন্ত্রী বরাবর একটি লিখিত আবেদন পত্র দেওয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান এমএ কালামের কাছ থেকে জলাবদ্ধতার কথা শুনে কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক সমস্যা সমাধানে তাকে আশ্বস্ত করেন।
৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ কালাম মুঠোফোনে জানান, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কৃষিমন্ত্রী কেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতেও পিছপা হবেন না।
তিনি আরো জানান, ১৫টি গ্রামের ৫ হাজার একর ফসলি জমির জলাবদ্ধতা নিরসণের জন্য কৃষিমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। মন্ত্রী মহোদয় তাকে আশ্বস্ত করেছেন জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসন করার লক্ষ্যে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]