কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের মাঠগুলোতে সরিষার আবাদ করতে গিয়ে ইরি ধান চাষের সময় অতিবাহিত হচ্ছে। স্বল্প সময়ে সরিষা চাষে সাফল্য মেলায় ছাড়ছেন না সরিষা চাষ বরং ঝুকে পড়ছেন কৃষকেরা সরিষা চাষের দিকে। এতে করে ইরি মৌসুমের ধান চাষের সময় পিছিয়ে যাচ্ছে।সঠিক সময়ে ধান চাষ করতে না পারায় আংশিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে ইরি ধান চাষের। যেমন সার, কীটনাশকের ব্যাবহার প্রয়োজনের চেয়েও বেশি মাত্রায় ব্যাবহারের প্রয়োজন পড়বে, সময় পিছিয়ে যাওয়ায় ধান ঘরে তোলার সময় ঝড় বৃষ্টির কবলে পড়তে হতে পারে এমনটাই আশা করছে কৃষকেরা।কিন্তু সরিষা চাষের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে আবাদ করাই মিলছে সরিষার বাম্পার ফলন।
জয়নগর ইউনিয়নের মাঠ গুলোতে লক্ষ করলে দেখা যাবে অধিকাংশ মাঠে সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে কিন্তু ধান চাষের সময় পিছিয়ে যাচ্ছে।যানা গেছে সরিষা চাষ শুরু হয় নভেম্বরের শুরুর দিকে।পাঁকতে সময় লাগে ২/২.১৫মাস। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি দিকে কিংবা জানুয়ারির মাঝামাঝির দিকে সরিষা পাঁকে।কিন্তু সেখানে অতিবাহিত হচ্ছে ধান চাষের ১মাস।যেখানে ডিসেম্বরের শেষের দিকে কিংবা জানুয়ারির শুরুর দিকে ইরি ধান চাষের উপযুক্ত সময়, সেখানে জয়নগরের মাঠ গুলোতে সম্প্রতি শুরু করা হয়েছে ইরি ধানের চাষ। ১মাস অতিবাহিত হওয়ায় কৃষকেরা সময়কে গুরুত্ব দিয়ে তড়ি ঘড়ি করে জমি তৈরী করছে ধান রোপন জন্য। আর সেই কারণে ব্যাস্ত সময় পার করছে এই এলাকার কৃষকেরা।
কৃষক সুবোধ দাস জানিয়েছেন সরিষা চাষ করতে গিয়ে ইরি মৌসুমের ধান চাষের সময় অতিবাহিত হচ্ছে কিন্তু এতে করে ধান চাষে বিশেষ কোন সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে না তবে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যাবহার বেশি লক্ষ করা যাবে।
কৃষক রশিদ সরদার ও রফিকুল বিশ্বাস জানিয়েছেন একি সাথে দুইটি ফসল সরিষা ও ধান পাওয়ায় কৃষকেরা ছাড়ছে না সুযোগ আর যার কারণে ধান চাষের সময় অতিবাহিত হচ্ছে।তিনি আরও জানান ১ মাস অপেক্ষা করে জমি ফেলে রাখতে হতো ইরি ধান চাষের জন্য আর বর্তমানে সেই ১ মাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরিষা চাষ করতে গিয়ে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে ধান চাষের সময়।সরিষার ভালো ফলন পাওয়া গেছে তেমনি ধানের ভালো ফলন আশা করছেন তারা। একি সাথে দুই ফসল পাওয়ায় কৃষকেরা খুশি।
জয়নগর ইউনিয়ন ব্লক সুপারভাইজার তাপস মজুমদার জানিয়েছেন আবহওয়া সরিষা চাষের জন্য উপযোগী এবং কম সময়ে সরিষা চাষ সম্ভব তাই কৃষকদের ধান চাষের পাশা পাশি সরিষা চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হয়।যাতে করে ইরি মৌসুমে ধান চাষের জন্য জমি ফেলে রাখতে হয় না।ইরি ধান চাষের সময়টা পিছিয়ে গেলেও ধানের ফলনে কোন কমতি হবে না তবে সারের ব্যাবহার বেশি হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]