থাই বারি-৮ জাতের পেয়ারা চাষ করে আশার আলো দেখছেন কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান। তার পরিবারে ফিরেছে সুদিন। পাশাপাশি পেয়ারা বাগানে কাজের সংস্থান হয়েছে অনেকের। উপজেলার অন্য কৃষকেরা পেয়ারা বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
কৃষক আব্দুল মান্নান ২৫শতক কৃষি জমিতে শুরু করেছেন থাই বারি-৮ জাতের পেয়ারা চাষ। চাষ শুরুর পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাগান থেকে ফলন পেতে শুরু করেছেন। তার ২৫ শতক জমিতে ফলনশীল থাই পেয়ারা গাছ আছে। পেয়ারা বাগানের ছোট ছোট গাছে থাই জাতের পেয়ারায় ভরে গেছে। পেয়ারাকে পোকা-মাকড় ও ধুলাবালি থেকে রক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাগিং পদ্ধতি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে সবচেয়ে বেশি পেয়ারা ধরে গাছে। সারা বছরই ফলন পাওয়া যায়। চারা লাগানোর দশ মাস পর থেকেই ফল পেতে শুরু করেন চাষীরা। বাজারে পেয়ারার দাম কম নয় প্রতি কেজি পেয়ারা পায়কারি বিক্রি করেন ৫০/৬০টাকা দরে। অধিক ফলনে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় বেজায় খুশি কৃষকরা। থাই পেয়ারা মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল, বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। ফলে সহজেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করা যায়।পাইকাররা নিজেরাই বাগানে এসে পেয়ারা নিয়ে যান।
ধানদিয়া গ্রামের পেয়ারা চাষী আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনিও পেয়ারা চাষে উদ্ভুদ্ধ হয়েছেন, অন্যদের দেখে। লাভজনক চাষ হওয়ায় তিনি পেয়ারা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সদ্য বছরে পেয়ারা গাছে ফলন আসায় দ্রুত খরচ পুষিয়ে নেওয়া যায়। একবার গাছে পেয়ারা ধরা শুরু হলে সারা বছর পেয়ারার ফলন পাওয়া যায়, গাছে প্রচুর ছোট পেয়ারা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তার ২৫শতক জমিতে পেয়ারা চাষ করতে খরচ দাঁড়িয়েছে ৪০হাজার টাকা,এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ৮০হাজার টাকা।সব মিলিয়ে অন্যান্ন চাষের চেয়ে অধিক মুনাফা প্রাপ্তির নিশ্চায়তা রয়েছে পেয়ারা চাষে,বাজারে চাহিদাও রয়েছে।
তার এ পেয়ারা চাষের সাফল্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তাদের দেখাদেখি একই গ্রামের শিমুল দাস,রাজু মোড়ল,উজ্বল সহ আরও অনেকে পেয়ারা বাগান করেছে।
ধানদিয়ার কৃষক শিমুল কুমার দাস জানিয়েছেন তিনি ১৫শতক জমিতে থাই বারি-৮ জাতের পেয়ারা চাষ করেছেন।বেকারত্ব দুরিকরণ ও অধিক মুনাফার আশায় তিনি পেয়ারা চাষ করেছেন; অন্যদের দেখে উদ্ভুদ্ধ হয়ে।
উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কলারোয়ায় ১২৫ হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষ হয়েছে।থাই পেয়ারার ফলন ভালো, সুস্বাদু, দাম ভালো হওয়ায় এই এলাকার কৃষকদের পেয়ারা চাষের আগ্রহ লক্ষকরা গেছে। নতুন নতুন চাষে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করণের কাজ কলারোয়া কৃষি অফিস প্রতিনিয়ত করে চলেছে। কৃষি নির্ভর বাংলদেশ যাতে কৃষিতে সমৃদ্ধ হতে পারে তারি ধারাবাহিকতায় কাজ করছি আমরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]