বাঁশঝাড়ের মাঝে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর, ঘরের চারপাশে নেই কোন বেড়া। ঘরে ছোট্ট একটা ভাঙ্গা বেঞ্চ, কেউ একজন দিয়েছিল, সেই বেঞ্চের উপর সারাদিন শুয়েই এখন কাটে তার জীবন। মাথার বালিশ নেই বলে শক্ত কাঠের পিঁড়ি মাথার নীচে। মাস দেড়েক হতে চললো একা এক নির্জন কুঁড়েঘরে তার ঠাঁই। সাতক্ষীরায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনার বিস্তার ঘটতে শুরু করলে করোনার সকল প্রকার লক্ষণ তার ভিতর দেখা দেয়। গ্রামের মানুষ তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। ঘরে কোন খাবার নেই, রান্না করে দেয়ার কেউ নেই, ডাক্তার দেখানো বা ওষুধ কেনার কোন সামর্থ্য নেই। সীমাহীন কাশি, শ্বাসকশষ্টে ভুগে শরীর নাড়াতে পারেনা। তারপরও মানুষের একটুখানি সহানুভূতি পাওয়ার জন্য, অন্য মানুষের একটু ভালবাসা পাওয়ার জন্য রাঁতের আঁধারে অন্য প্রতিবেশীদের গোয়াল ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিতে গিয়েও পারেনি। জীবনভর সুখে দুখে একসঙ্গে বাস করা প্রতিবেশীরা সর্বনাশা করোনার কাছে অসহায় হয়ে বাঁচতে চেয়েছে।
৬৫ বছর বয়সী সন্তানহীন বিধবা তারার সাতকূলে আপন বলতে কেউ নেই। স্বামীও দীর্ঘদিন কর্ম অক্ষম থেকে ও শারীরিক-মানসিক সমস্যায় ভুগে কয়েক বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। সামান্য একচিলতে জমিতে এই কুঁড়েঘরটুকুই তার সম্বল। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ দূরে খাবার রেখে যায়, কেউ গ্রাম্য ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ কিনে দেয়। তবে করোনাকালে গ্রামবাসী সবাই কম বেশী বিপর্যয়ের মধ্যে আছে, তাদেরও সীমাবন্ধতা আছে চারিদিকে। তারার দরকার নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার, সঠিক চিকিৎসা, বর্ষাকালে সাপ-পোকা থেকে রক্ষা পেতে ঘরের সংস্কার।
দেড় মাস আগেও প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি ফুট-ফরমায়েশ খেটে তার খাওয়া জুটতো। গ্রামের মানুষ একবেলা না খেয়েও থাকতে পারে কিন্তু অন্য মানুষের সঙ্গে কথা না বলে এক ঘন্টাও থাকতে পারে না। সেই মানুষ দেড় মাস ধরে পথের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে রাস্তা থেকে কে একটু আসবে তার সঙ্গে কথা বলতে, একটু খাবার নিয়ে আসবে, একটু ওষুধ কিনে দিবে - এই আশায়।
এই ভিডিওটি আজ ৭ জুলাই ২০২১ সকাল ১১ টার দিকে ধারন করা। অভিমানী তারা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে চায় না। সামাজিক কুসংস্কার, যাদের সে আপন মনে করে সেই প্রতিবেশীদের দেখতে পারবে না, এমন অনেক আশংকা থেকে তার এই অভিমান। আগে থেকেই তার নানাবিধ শারীরিক জটিলতা বিদ্যমান। এই মূহুর্ত্তে তার দরকার সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার, মানসিক সাপোর্ট, সঠিক চিকিৎসা। তার ছোট্ট কুঁড়েঘরটির উন্নয়নও জরুরী। দেখতেই পাচ্ছেন, কি জরাজীর্ণ অবস্থা কুঁড়েঘরটির। এই লেখাটা যখন লিখছি তখনো ভয়ংকর বৃষ্টি, বজ্রপাত চলছে। তার জায়গায় একটু নিজেকে দাঁড় করিয়ে কল্পনা করে দেখুন।
আমাদের সমাজে অনেক বিবেকবান ও মানবিক মানুষা আছেন যারা অন্যদের সাহায্য করেন, অনেকে জাকাত প্রদান করেন। আপনার সাহায্য থেকে, জাকাত থেকে একটুখানি কি এই অসহায় মানুষটাকে দেয়া যায় না? ১০০০ মানুষ ১০০ টাকা করে দিয়েও তার অপনজন হতে পারেন। এতে তার জীবন আবার স্বাভাবিক হবে, তার ঘরটা সংস্কার করা যাবে। আমার উপর যদি কারো আস্থা থাকে তবে আমার মাধ্যমে তাকে একটুখানি সহযোগীতা করতে পারেন। আপনার সহযোগীতার শতভাগ নায্য ব্যবহার হবে এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। যদি কেউ তাকে সহযোগীতা করতে চান তবে আমার ইনবক্সে নক দিতে পারেন বা নীচের বিকাশ নাম্বারে পাঠাতে পারেন। পোস্টটি শেয়ার দিয়ে অন্যদের কাছেও পৌঁছানোর অনুরোধ থাকলো। আমি কোন জনপ্রিয় কেউ না, আপনাদের সবার শেয়ার হয়তো সঠিক মানুষের সামনে নিয়ে যাবে এই লেখাটা।
কেউ যদি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার উত্তর মুরারীকাটী গ্রামের অসহায় ও দুঃখী তারার সঙ্গে কথা বলতে চান তবে আমাকে সেটাও জানাতে পারেন অথবা নীচের নাম্বারে কল দিতে পারেন। চাইলে সে ভিডিও কলে লাইভ কথা বলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবে। বিকাশ নাম্বার ও আরো জানার জন্যঃ 01785077250 (তৌফিক)
S M Saifur Rahman -এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]