রাবেয়া খাতুন, বয়স ৭৩ বছর। ছেলে সন্তান থেকেও নেই, নেই ভালোমতো থাকার কোনো জায়গাও। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন। একা একা চলতে ফিরতে অনেক কষ্ট হয়।
বেঁচে থাকতে যে মৌলিক চাহিদার প্রয়োজন তারও নূন্যতম পূরণ করতে পারছেন না তিনি। পাচ্ছেন না সরকারি কোনো সহায়তাও।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বিষন্নতায় ভুগছেন রাবেয়া খাতুন, কারণ চেষ্টা করেও পাচ্ছেন না বয়স্ক ভাতা। তাইতো তার একটাই প্রশ্ন আর কত বয়স হলে মিলবে আমার বয়স্ক ভাতা?
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নিজের এমনই কষ্টের কথা।
রাবেয়া খাতুনের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার উপজেলার ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিছলাপোল গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত নছিমদ্দীনের স্ত্রী।
হতদরিদ্র রাবেয়া খাতুন চলাচল করতে পারে না। এখন জীবনের তাগিদে অন্যের বাড়িতে মা রাবেয়াকে কে রেখে মেয়ে ঝিয়ের কাজ করেন অন্য বাড়িতে। কাজ করে যা পান তাই দিয়ে তাদের দু'জনের সংসার চলে।
গণমাধ্যম কর্মী দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক ভাতা পাবো? অনেক বার আমি ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে একটা ভাতার কার্ড করে দেয়ার অনুরোধ করেছি। কোনোভাবে একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারিনি।'
করুণ আকুতি আর পানি ভেজা চোখে তিনি আরও বলেন, "সমাজের অনেকের কাছে আমি ধরণা দিয়েছি কিন্তু মিলছে শুধু বছরের পর বছর আশ্বাস- ‘আগামীতে আসলে পাবেন’। এই আশ্বাসটুকু ছাড়া আর কিছুই পাননি। ছেলে সন্তান থাকার পরেও তারা আমার ভরণপোষণ বা ঔষধ কেনার টাকা পর্যন্ত দেয় না। বাধ্য হয়ে মেয়ে আমাকে তার সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করে।"
তিনি সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন রাবেয়া বেগম।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]