করোনা ভাইরাসের প্রর্দুরভাব লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরা জেলায় টানা ২ সপ্তাহের লকডাউন চলমান। লকডাউনে একদিকে স্থানীয় অর্থনীতির যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি নানা মুখি সমস্যার সম্মুখীনে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষরা। যার কারণে বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে দিনমজুররা লকডাউন উপেক্ষা করে বের হচ্ছেন জীবিকার তাগিদে। তাদের ভাষায়- লকডাউন উপেক্ষা করা গেলেও ক্ষুধাকে তো আর উপেক্ষে করা যায় না।
ঔষধের দোকান ব্যতীত লকডাউনের সময় সীমা সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও মানতে চাইছেন না ক্রেতা বিক্রেতারা। সুরক্ষার চেয়ে তারা পুলিশকে চৌকি দিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার প্রকোপ ঠেকানোর লক্ষ্যে ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছেন উপজেলার সরসকাটি ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা। তারা জনগণকে বিধিনিষেধ মানানোর জন্য দিন রাত ছুটে বেড়াচ্ছেন। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে দোকানপাট বন্ধ রাখলেও সুযোগ পেলেই বিক্রেতারা খুলছেন দোকান। আর ক্রেতারা চুপিসারে অবস্থান নিচ্ছেন দোকানপাটে। এ যেনো চোর-পুলিশের লুকোচুরি খেলা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌফিক আহম্মদ টিপু সঙ্গিয় ফোর্সের সহযোগিতায় লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছেন, মানুষের পাশে দেখা গেছে তাদের। মাস্ক বিতরণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি বাজার মনিটরিংসহ সার্বিক ভাবে জনগনের পাশে থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নানান তৎপরতা চালাচ্ছেন। সরসকাটি বাজার, জয়নগর বাজার, ধানদিয়া বাজারে সার্বক্ষনিক তাদের টহল অব্যাহত রয়েছে।
তবে বাজারের দোকানিদের বার বার বলেও কোন সুরাহা যেনো হচ্ছে না।
পুলিশ দেখে তাৎক্ষনিক বন্ধ থাকলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই আবারো দোকান খুলতে শুরু হচ্ছে। কেউ দোকানের শাটার অর্ধেক নামিয়ে আবার কেউ পুরো নামিয়ে ভিতরে অবস্থান করে বেচাকেনা করছেন। আর ক্রেতারা চায়ের দোকানে ভিড় করছেন বেশি। সবমিলিয়ে এ যেনো চোর-পুলিশ খেলা!
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]