কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়ন নির্বাচনে ভোট গ্রহনের দূরনীতি, ইভিএম ত্রুটি, সন্ত্রী কায়দায় ভোট গ্রহন, অনিয়মের মাধ্যমে নিজের পাওয়া ভোটের সংখ্যা না জানানো, বয়ঃবৃদ্ধ পুরুষ-মহিলাদের জোর পূর্বক আঙ্গুল চেপে ধরে ভোট গ্রহন, এভিএম এর মেশিন ত্রুটি, আইন শৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় তাদের ইচ্ছেমত ভোট সুবিধা, ভোট গণনার সময় পোলিং এজেন্টদের কক্ষের মধ্যে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেছেন।
সদ্যসমাপ্ত সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নৌকার প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার আনসার আলী ও স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস।
এছাড়া একই অভিযোগ করলেন-১১জন ইউপি মেম্বর প্রার্থী।
এরা হলেন- ১নং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের মেম্বর প্রার্থী খন্দকার নুর হোসেন (সাহেব আলী), একই ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস ছাত্তার, ৩নং ওয়ার্ডের বৈদ্যুতিক পাখার প্রার্থী শরিফুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সজল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডের মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান, ৬রং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, ৬নং ওয়ার্ডের ঘুড়ি মার্কার প্রার্থী আমিরুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের মোরগ মার্কার প্রার্থী শেখ আসলাম আলী দুলাল, ৯নং ওয়ার্ডের সিলিং ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী মোনায়েম খান, ৯নং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের প্রার্থী মাজেদ দ্বয় বলেন- অনিয়মের কারণে সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ফলাফল স্থগিত কিংবা পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে কলারোয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা ওই অভিযোগ ও দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে নৌকার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার আনসার আলী বলেন, গত ২০সেপ্টেম্বর ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার ৯টি কেন্দ্রে নির্বাচন চলাকালে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, এভিএম অপারেটর ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় অধিকাংশ বয়ঃবৃদ্ধ পুরুষ-মহিলা ভোটারদেরকে জোর পূর্বক আঙ্গুল চেপে ধরে ভোট গ্রহন করায় কাংখিত প্রের্থীকে ভোট দিতে পারেনি। এছাড়া ইভিএম এর মেশিন বারবার ত্রুুটি থাকায় ভোটারগণ সুষ্ঠ ভোট দিতে পারে নাই।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন তার সন্ত্রাসী কর্মী নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট, ইভিএম অপারেটর ও শান্তি শৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় তাদের ইচ্ছেমত ভোট গ্রহন ও বাধা সৃষ্টি করেছে। ভোট গণনার সময় তার কোন পোলিং এজেন্টদেরকে কক্ষের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যা অনিয়মের মধ্যে ভোটের ফলাফল ঘোষনা করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস বলেন-রাত আনুমানিক ৯টা ৪০মিনিটে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় কতগুলো ভোট কাস্ট হলো এবং আমি কয়টি ভোট পেলাম তা রেজাল্টসিট আমাকে দেন নাই। এমতাবস্থায় উক্ত অনিয়মের কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় ভোট গণনা করার আবেদন করেন।
এদিকে হেলাতলা ইউনিয়নের ১১জন ইউপি সদস্য প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার আনসার আলী, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস ও ৯টি ওয়ার্ডের ১১মেম্বর প্রার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্র্নিং অফিসার দায়িত্বপ্রাপ্ত হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ বরাবরে গণদরখাস্ত করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]