এ বছর বৈরি আবাহওয়ায় প্রতিকুল পরিবেশে কলারোয়ার মাঠে মাঠে আমন ধানে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আমন চাষে একের পর এক বাড়তি খরচ যোগাতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, কলারোয়ায় চাষের লক্ষমাত্রা ১১ হাজার ৯'শ ৩০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের অভাবে সেচ খরচ যোগায়ে এবং সারের বাড়তি দাম সামাল দিতে যেয়ে আমন ধানের আবাদ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে সংশিস্নষ্ট কৃষকরা জানায়। কিন্তু আমন ধান রোপনের পরেূ মাটি ফেটে যাওয়ায় উচু জমিতে স্থান বিশেষে চারবার পর্যন্ত সেচ দিতে হয়েছে। আর বৃষ্টিপাতের অভাবে মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় ধান ক্ষেতে ব্যাপকভাবে ঘাস সহ আগাছা জন্মায়। বাড়তি মজুরি খরচ করে আগাছা পরিস্কারের পরে টপড্রেসিংয়ে নামে কৃষকরা। টপড্রেসিং শেষে ধান ক্ষেতে কোথাও লিভ ব্লাস্ট, কোথাও কারেন্ট পোকা (বাদামী ফড়িং) কোথাও পচন রোগের প্রার্দুভাব ঘটেছে। এতে ধানের পাতায় পোড়া দাগ সৃষ্টি শুরু হয়। কোনো ক্ষেতে গোড়ার পাতা শুকানো শুরু করে। কোনো কোনো ক্ষেতে গোড়ার পাতায় পচন শুরু হয়। কখনো ঠান্ডা, কখনো ভ্যাপসা গরমের বৈরি আবাহওয়ায় দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
সোনাবাড়ীয়ার কৃষক মাহিদ ১ বিঘা এবং আরাপ আলীর ১.৬ বিঘা জমিতে পচন ও কারেন্ট পোকার আক্রমণরোধে কয়েকবার কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়েছে বলে জানায়। নীলকণ্ঠপুর গ্রামের ইমান আলীর পুত্র মনিরুজ্জামানের ৩ বিঘা জমিতে ছত্রাক ও কীটনাশক দিয়ে ব্লাস্টের আক্রমণ ঠেকাতে হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
এছাড়া হেলাতলা গ্রামের ডাঃ নজরুল ইসলাম, চান্দা গ্রামের ডাঃ আলাউদ্দিন, তুলসীডাঙ্গা গ্রামের মৃত লতিফ দফাদারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম এই রোগের প্রার্দুভাবের কথা জানায়।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, কিছু জমিতে লিভ ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। ছত্রাকনাশক স্প্রে করায় রোগ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা রোগ দমণে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]