কলারোয়ার জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা শেখ মারুফ আহমেদ জনিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনাটি ঘটে।
ছাত্রলীগ নেতা শেখ মারুফ আহমেদ জনি জানান, জালালাবাদ ইউপি সদস্য মশিয়ার রহমান তার ব্যবহৃত (০১৭৭৯৮৭৪৭২১) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নেন।
চেয়ারম্যান কার্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ নেতা জনি সেখানে দেখেন- জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান, রাসেল বিশ্বাস (পিতা- ফজলে বিশ্বাস), হাসানুর রহমান (পিতা- বাবলু গাজী), জীবন বিশ্বাস (পিতা হাফিজুল ইসলাম বিশ্বাস), রফিকুল সরদার (পিতা- মৃত ফজলে সরদার), উভয় গ্রাম বাঁটরা এবং বুইতা গ্রামে মোঃ হাবিবুল্লাহ (পিতা- আশরাফ মোড়ল) উপস্থিত আছেন।
জনি আরও জানান, চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঢোকা মাত্রই চেয়ারম্যানের নির্দেশে রাসেল বিশ্বাস রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয় এবং তার কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন রাসেল বিশ্বাস জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। এরপর তারা জনিকে রশি দিয়ে দুই হাত পিট মোড়া দিয়ে বেঁধে ফেলে।
জনির বাবা শেখ মোসলেম আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার ছেলেকে (জনি) লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত ও জখম করা হয়।
শেখ মোসলেম আহম্মেদ আরও বলেন, একপর্যায়ে চেয়ারম্যান নিশান জনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো গাছি দা দিয়ে মাথায় কোপ মারে তাতে সে গুরুতর রক্তাক্ত ও জখম হয়। এসময় জনি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
এদিকে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলাকারীরা ছাত্রলীগ নেতা জনির উপরে ক্ষিপ্ত ছিল বলে সূত্রে জানা যায়।
খবর পেয়ে কলারোয়া থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে জনিকে উদ্ধার করে পরিস্থিত শান্ত করেন। জনির স্বজনরা তাকে কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে জনির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সদর হাসপাতালেও তার অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় খুলনায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান জনির বাবা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঘটনাটি আমার রুমে নয়, ঘটেছে পরিষদের সামনের চত্ত্বরে। চাউল বিতরণকে কেন্দ্র এটি ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। এরপর তিনি কথা শেষ না করেই ফোনের লাইন কেটে দেন।
ইউপি সদস্য মশিয়ার রহমান তার নিজের মোবাইল ফোন থেকে ছাত্রলীগ নেতা জনিকে কল করে পরিষদে ডেকে আনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকের এই অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটেছে। আমি চেয়ারম্যানের রুমে বসে ছিলাম। মানুষের হৈ-চৈ শুনে বাহিরে বের হয়ে দেখি জনির কপালের এক সাইট দিয়ে রক্ত ঝরছে।
তিনি আরও বলেন, ইউপি চত্ত্বরে রাতে ব্যাডমিন্টন খেলায় পরিষদ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগে লাইট জ্বালানো নিয়ে গ্রাম পুলিশদের সঙ্গে জনির কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে জনির হাতাহাতি হয়।
জনিকে ফোন করে ইউনিয়ন পরিষদে ডেনে আনার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন।
এবিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করিনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]