কলারোয়ার ১২টি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে বসন্তের বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। বাম্পার ফলনের সম্ভবনায় কৃষকের মুখে হাসি।
সবুজের সমাহারে মাঠ গুলো যেন হেসে উঠেছে। আর সেই সাথে হাসি ফুটছে কৃষকের মুখেও। আবহওয়া অনুকুলে থাকলে এবার ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবেন এ এলাকার কৃষকরা এমনটাই স্বপ্ন তাদের চোখে।
কয়েক জন কৃষক জানিয়েছেন- প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না ঘটলে এবং বাজারে ধানের ন্যয্য মূল্য পেলে, অধিক মুনাফা লাভের আশা তাদের।
এরই মধ্যে প্রতি বিঘা ধান চাষ থেকে শুরু করে, জমিতে চারা রোপন, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক দিয়ে মোট খরচ হয়ে গেছে প্রায় ১০/১৫হাজার টাকা। এখনো খরচ হবে। ধান কাটা, বাঁধা, বাড়িতে নিয়ে যাওয়া, ধান ঝাড়া, এতো খরচের পর ফলন ভালো হওয়াসহ দাম ভালো পাওয়া গেলে এই খরচ আর পরিশ্রম দুটোই সার্থক হবে।
নীলকন্ঠপুর গ্রামের কৃষক বজলুর রহমান জানিয়েছেন এবার জমিতে ২ বিঘা ইরি ধান চাষ করেছি, বৈরি আবহাওয়া, পোকামাকড় ও ইঁদুরের আক্রমন না হলে ধানের অধিক ফলনের আশাবাদী তিনি।
জয়নগরের কৃষক তরিকুল ইসলাম (৩৫) জানিয়েছেন তিনি ১বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করেছেন। আবহওয়া যদি অনুকুলে থাকে এবং পোকামাকড়ের আক্রমন থেকে ধানকে রক্ষা করা যায় তবে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
জয়নগর ইউনিয়ন ব্লক সুপারভাইজর (কৃষি), তাপস মজুমদার জানান, জয়নগর ইউনিয়নে ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে যদি, আবহওয়া অনুকুলে থাকে ও পোঁকার আক্রমন থেকে ফসল রক্ষা করা যায়।তিনি আরও জানিয়েছেন এ মৌসুমে জয়নগর ইউনিয়নে ইরি বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৯৬০ হেক্টর জমিতে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]