সাতক্ষীরার কলারোয়ার বসন্তপুর মোড়ে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারপিটে রেজাউল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা হয়েছে।
নিহতের ছেলে উপজেলার ওফাপুর গ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শেখ রিপন হোসেন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে ওই হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১০, তারিখ- ৮/৭/২০২১। ধারা-১৪৩/৩২৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার ওফাপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদ ঢালীর ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (৩৫), আফজাল হোসেন (২৫), কাদের ঢালীর ছেলে রনি ঢালী (৪০), হায়দার ঢালী (৩৭), একই গ্রামের আনার মোড়লের ছেলে হৃদয় মোড়ল (৩৬), আব্দুল মাজেদ ঢালীর ছেলে আজগর আলী (২২), মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে নানা ওফাপুর গ্রামের আকিমুদ্দীন বিশ্বাসের নাতি ইমানালী বিশ্বাস (৩৫), কাদের ঢালীর ছেলে অজেদ ঢালী (৪৬) ও ওমর আলী মোড়লের ছেলে রুহুল আমিন মোড়ল (৪৫)।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ্ব মীর খায়রুল কবীর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ওফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে বসন্তপুর মোড়ে মামলার বাদীর নিকট আসামিরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বাদীর পিতা শেখ রেজাউল ইসলাম মারা যান।
নিহত রেজাউল (৫৫) উপজেলা যুগিখালী ইউনিয়নের ওফাপুর গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল গফুরের ছেলে।
নিহতের ছেলে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শেখ রিপন হোসেন জানান, ‘কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা তাকে মারপিট শুরু করে। সেসময় পাশে থাকা তার পিতা ছুটে আসলে তাকেও মারপিট করে বুকে কয়েকটি লাথি মারলে তার পিতা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় তার পিতাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।’
ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত উজ্জ্বল হোসেন জানিয়েছিলেন, ‘পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শেখ রিপনের কাছে তাদের ১২ হাজার টাকা পাওনা ছিলো। জেলায় মাসাধিকাল লকডাউন চলায় তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্ন সময় টালবাহনা করে আসছিলো। এনিয়ে ঘটনার সময় রিপনের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রিপনের বাবাসহ তার কয়েকজন ও আমার পক্ষের কয়েকজন পরষ্পর কিলঘুষি মারার ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলের অন্য ব্যবসায়ীরা সেদিন জানান, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও কিল ঘুষি মারামারির ঘটনা ঘটে। ভিড়ের মধ্যে যে কোন এক ব্যক্তির আঘাতে রেজাউল মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার শেখ কামাল হোসেন এসে চিকিৎসা দেন।’
গ্রাম ডাক্তার কামাল হোসেন জানান, ‘রোগীর অবস্থা খারাপ মনে হওয়ায় তাকে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে হাসপাতালে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার অহিদুজ্জামান তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]