সারা দেশের ন্যায় কলারোয়ায় প্রথম দিন এস,এস,সি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠ, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অতিবাহিত হয়েছে।
শুরুতেই এসএসসিতে বাংলা ১ম পত্র, ভোকেশনালে বাংলা(১ম-২য়) পত্র, দাখিল পরীক্ষায় কোরআন মাজীদ ও তাজবীদ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গুড়িগুড়ি নিন্মচাপের বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন।
জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার ৪টি কেন্দ্রে এসএসসি, ১ টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল ও ১ টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কলারোয়া সরকারী পাইলট হাইস্কুলের কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক আঃ রব জানান, এই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৪১ জনের মধ্যে ছাত্র ৪২৫ জন ও ছাত্রী ৫১৬ জন। এরমধ্যে অনুপস্থিত ছাত্র ৪ ও ছাত্রী ৮ জন।
গার্লস পাইলট হাইস্কুলের কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব জানান, কেন্দ্রে মোট ৭৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী অনুপস্থিত।
সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক আখতার আসাদুজ্জামান চান্দু জানান, মোট পরীক্ষার্থী ৭৫২ জনের মধ্যে ছাত্র-৪২৪ জন ও ছাত্রী - ৩২৮ জন। এর মধ্যে ২ জন ছাত্র ও ৬ জন ছাত্রী অনুপস্থিত।
খোর্দ্দ বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব প্রধান শিক্ষক রবিউল হাসান জানান, এই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র-২১০ জন ও ছাত্রী- ১৬৭ জন। অনুপস্থিত ছাত্র -১, ছাত্রী-৫ জন।
শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজে ভোকেশনাল পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার জানান, ভোকেশনাল কোর্সে মোট পরীক্ষার্থী ৩২৫ জনের মধ্যে ছাত্র- ২৪৯ জন ও ছাত্রী- ৭৬ জন। এরমধ্যে অনুপস্থিত ১১ জন ছাত্র।
এ দিকে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের কেন্দ্র সচিব বোয়ালিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার রবিউল হক জানান, মোট - ৬৮৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮৬ জন ছাত্র ও ৩০৩ জন ছাত্রী। অনুপস্থিতের সংখা ছাত্র-২১ ও ছাত্রী - ১৭ জন।
কোন পরীক্ষার্থী অসুদাপায় অবলম্বন করেছেন এমন কোন খবর পাওযা যায়নি। সকল পরীক্ষা কেন্দ্রে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, হল সুপার, কক্ষ পরিদর্শক ও পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা যায়।
কলারোয়া সরকারি পাইলট হাইস্কুল, গার্লস পাইলট হাইস্কুল ও সোনাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সহ বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) রুলী বিশ্বাস সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ সহ কর্মকর্তাবৃন্দ। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে সার্বিকভাবে পরিবেশ সুন্দর রাখতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
পরীক্ষার শেষে পরীক্ষার্থীরা জানান, প্রথম দিনের বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষা ভাল হয়েছে তবে দেশের সিলেট বিভাগে আকষ্মিক বন্যার কারনে পরীক্ষা যদি স্থগিত না হতো তাহলে পূর্বের সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারলে আরো ভাল হতো।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]