কলারোয়ায় কঠোর লকডাউনের মধ্যেও চলছে এনজিওর কিস্তি আদায়। টাকা আদায়ের জন্য বাড়ি বাড়ি ধরনা দিচ্ছেন এনজিওকর্মীরা। এমনকি ঋণ আদায়ের জন্য গ্রাহকদের সঙ্গে জোর-জবরদস্তিও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ঋণ পরিশোধের চাপে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা পরিবারগুলো পড়েছে চরম বিপাকে পড়েছে।
চাপাচাপি করে এনজিওর ঋণ আদায়ের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, লকডাউনের দিনগুলোতে জোর করে ঋণ আদায় কোনোভাবেই ঠিক হচ্ছে না। কিস্তির জন্য গ্রাহকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।
জানা গেছে, আরআরএফ, ব্র্যাক, আশা, জাগরণী চক্র, আদ দ্বীন, ম্যাসেঞ্জার, ব্যুরো বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি এনজিও লকডাউনের মধ্যে ঋণের কিস্তি আদায় করছে। সুদের টাকা আদায়ে স্থানীয় কয়েকটি এনজিও-সমিতি অনুরূপভাবে রূঢ় আচরণ করেছেন গ্রাহকদের সাথে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, এসব এনজিওর কর্মীরা বাড়ির ওপর এসে কিস্তির জন্য ধরনা দিচ্ছেন। চাপাচাপি ও জোরাজুরি করছেন। কিস্তি দিতে ব্যর্থ হলে অপমান করছেন। খবর মিলেছে কলারোয়া পৌরসভার ঝিকরাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঋণের কিস্তি আদায় করতে এনজিওকর্মীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ঝিকরা বাগদিপাড়ার বাসিন্দা রিপা, নীলকমল, ঝর্ণা জানান, আরআরএফ, ব্র্যাক, আশা, জাগরণী চক্র, আদ দ্বীন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন তারা। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন। ফলে এখন তারা কিস্তি দিতে পারছেন না। তারা দাবি করেন, সবকিছু যখন সচল ছিল ঋণের কিস্তি তারা কখনো বকেয়া রাখেননি। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই আয়ও বন্ধ। ফলে কিস্তি দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে লকডাউন মানছেন না এনজিওকর্মীরা। যেকোনোভাবেই হোক, কিস্তি চান তারা।
ঝিকরা গ্রামের রত্না বলেন, একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলাম। বরাবর ঠিকমতো কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু লকাডাউনের মধ্যে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। যার জন্য কিস্তি পরিশোধ করতে পারছি না। লকডাউনের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা শুনতে চাইছেন না এনজিওকর্মীরা। বাড়ি এসে কিস্তির জন্য চাপাচাপি করছেন তারা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]