কলারোয়ায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে অতি দারিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (EGPP) এর আওতায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন কাজের অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা পেলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রায়টা গ্রামে গিয়ে এই রাস্তা সংস্কার কাজ তদারকি করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।
তিনি সেখানে গিয়ে নির্ধারিত রায়টা দক্ষিণ রফিকুলের বাড়ি হতে কওছার গাইনের বাড়ি অভিমুখ স্থানে কোন লোক না পেয়ে স্থানীয় রায়টা বাজারের পশ্চিম হতে হেলাতলা অভিমুখে রাস্তার কাজ হচ্ছে জানতে পেরে সেখানে গিয়ে কোন কর্মসৃজনের লোক না পেয়ে হতাস হন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সেখানে কর্মরত কৃষকদের ডেকে তাদের কাছে জানতে পারেন যে এখানে ১২ থেকে ১৫ জনের মত লোক কাজ করছিল কিন্তু আধাঘন্টা আগে লোক গুলি কাজ ছেড়ে চলে গেছেন।
সাথে সাথে ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনকে সেখানে তলব করে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভের মাধ্যমে সেখানকার কাজের অনিয়ম ও দূর্ণীতির চিত্র বর্ননা করেন। সেসময় তিনি বলেন আমি জানতে পেরেছি ২৫ লোক এখানে কাজ করার কথা থাকলেও ১২ জন লোক এখানে এসেছিল কিন্তু কাজ তদারকি করার কোন লোক না থাকায় নাম মাত্র ৫০ ঝুড়ির মত মাটি কেটে চলে গেছে।
পরবর্তিতে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন সেখানে পৌছালে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু তাকে( ইউপি সদস্য) কাজের অগ্রগতির কথা বললে উত্তরে ফারুক হোসেন বলেন- আমি আজকে এখানে আসতে পারিনি, লোক ছিল কিন্তু তারা হয়তো কাজই করেনি।
লাল্টু বলেন- আমরা তোমার কাজ দেখে দুঃখ পেলাম। ১লক্ষ ৯২ হাজার টাকার কাজ না হলেও তো ৫০ হাজার টাকার কাজও তো করাতে হবে। তাতে সরকার বাঁচবে তোমরাও বাঁচতে পারবে। কাজ দেখে মনে হচ্ছে এখানে ১জন লোক কাজ করেছে।
এসময়ে তিনি আরো বলেন কাজের উনিশ কুড়ি হবে, আঠার কুড়ি হবে তাই বলে দুই আনার কাজ না করে ষোল আনার বিল নেওয়ার কোন সুযোগ নাই।
এই অনিয়ম আমি কেন কেহ এটা মেনে নিবে না।
১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন তিনি এই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও।
আওয়ামীলীগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এবং এখানের এই ২৪ জনের কাজের ( ১ লক্ষ ৯২ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
আমরা ডিসি মহোদয়, জিআরও, ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলবো। সরকার এই কাজের ৮০ ভাগ কাজ বুঝে নিবে। এটি একটি নিন্দনীয় কাজ। আগামীতে এভাবে আর কোন কাজ বরদাস্ত করা হবে না।
এব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহানের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে বলেন এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা তবে সত্য হলে অফিসিয়ালি, আনঅফিসিয়ালি সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন রকম অনিয়ম দূর্ণীতি ৪০ দিনের কাজে মেনে নেওয়া হবে না।
নির্ধারিত স্থানে কাজ না করার বিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন বলেন- ঐ স্থানে বাড়ির নিকট থেকে মাটি কাটতে আপত্তি থাকার কারণে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আমি থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই রাস্তার কাজটি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কর্মসৃজন কাজের সাথে জড়িত তিনজনের সাথে রায়টা বাজারে কথা হলে তারা সাংবাদিককে জানায়- আজকে সেখানে আমরা ১৮ জন লোক কাজ করছি তবে একটু আগেই কাজ ছেড়ে দিয়েছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]