একটা সময় ছিলো লাঙ্গল গরু ছাড়া কৃষকের জমিচাষ অসম্ভব ছিলো। আজ সেই লাঙ্গল গরুর দেখা পাওয়া বড়ই মুশকিল। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যেবাহী লাঙ্গল। চাষের জন্য আধুনিক কলের লাঙ্গল ব্যবহারে হারিয়ে গেছে গরুর লাঙ্গল। বছরের দুইটা সময় চাষের পর জমিতে মই দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র গরু ও মই ব্যবহার করা হয়। বাকি কাজ কলের লাঙ্গল দিয়ে সেরে ফেলা হচ্ছে।
এদিকে ইরি, বোরো ধানের আবাদের সময় কলের লাঙ্গল দিয়ে চাষের পর কর্দমাক্ত জমিতে মই দেওয়ার জন্যই গরু ও মই ব্যবহার করা হয়। অন্য সময় চাষের জমিতে কলের লাঙ্গলের পেছনে মই বেঁধে জমিতে মই দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। একটা সময় অনেকের জীবিকা নির্বাহ হতো লাঙ্গল গরু দিয়ে চাষ করে। এখন আধুনিকতার ছোয়ায় তারা বেছে নিয়েছেন বিকল্প উপায়।
জয়নগরের নীলকন্ঠপুর গ্রামের মোঃ সৈলদ্দি গাজী জানিয়েছেন, বছরের দুইটা সময়ে শুধুমাত্র হালের বলদ ও মইয়ের প্রয়োজন হয়, বাকি কাজ কলের লাঙ্গল দিয়ে সেরে ফেলছে কৃষকেরা। লাঙ্গল গরুর প্রয়োজন বর্তমানে নেই বল্লেই চলে।
একি কথা জানিয়েছেন জয়নগরের শম্ভু ঘোষ, বছরের দুইটা সময়ে গরু ও মইয়ের প্রয়োজন পড়ে, ইরি, বোরো মৌসুমে। বাকি সব কাজ কলের লাঙ্গল দিয়ে সেরে ফেলা হয়। গরুর লাঙ্গলের প্রয়োজন বর্তমানে নেই বল্লেই চলে। পরিশেষে একটি কথাই উঠে এসেছে কালের বিবর্তনে এসমাজ পরিবর্তনশীল। তারই জ্বলজ্বলে উদহারন আমাদের হালের লাঙ্গল গরু।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]