কলারোয়ার গ্রাম গঞ্জে কৃষকের ঘরে ধান না উঠতেই মহাজনের হালখাতার খামের আগমন দেখা দিয়েছে। বাকিতে কেনা সার কিটনাশক এর মূল্য পরিশোধের জন্য মহাজনেরা আনুষ্ঠানিকতা (হালখাতার) আয়োজন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ও দিকে এখনও কৃষকের ধান ঝাড়া শেষ হয়নি। লাভ হোক, লস হোক মহাজনের কাছ থেকে বাকিতে কেনা জিনিসের টাকা পরিশোধ করতেই হবে।
এবছর আবহওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়ারর কারণে ইরি ধান সঠিক সময়ে কৃষকের ঘরে ওঠেনি, যদিও উঠেছে কিন্তু মহা সগ্রাম করে ঘরে তুলতে হয়েছে । অধিকাংশ কৃষকের কাটা/বেধে রাখা ধান মাঠে ভিজে গিয়েছিলো, যার কারণে ধান ও বিচালিতে চরম লস গুন্তে হচ্ছে। ভেজা ধান বিক্রি করতে হচ্ছে বস্তা প্রতি ২৫০/৩০০ টাকা কমে অন্যদিকে বিচালিও ভিজে যাওয়ার কারণে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, প্রতি কাহন বিচালি বিক্রি করছেন ২/২.৫ হাজার টাকা, যার অর্ধেকের কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেকের আবার পানিতে ধান তলিয়ে থাকার কারণে ধানের চারা গজিয়ে গিয়েছিলো। অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরি ডাবল ৫০০/১০০০ টাকা দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষকের চরম লসের শিকার হতে হয়েছে।
জয়নগরের কয়েকজন কৃষকের কাছ থেকে জানাগেছে, তারা অন্য বছরের তুলনায় ধানের আবাদ করতে খরচ বেশি হয়েছে কারণ হিসেবে তারা ব্লাষ্ট ও কারেন পোকাকে দুষছেন। শুরুতে ধানের ব্লাষ্টের প্রতিষেধক স্প্রে করেছেন, তার পর কারেন পোকার প্রতিষেধক স্প্রে করেছেন এতে করে অন্য বছরের তুলনায় প্রতিটি কৃষকের বিঘা প্রতি ৩/৪ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে, তবে কৃষকেরা আরও বলছেন এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছিলো, বৃষ্টিতে ক্ষতি না হলে ধান ও বিচালিতে বাড়তি খরচ পুষিয়ে যেতো কিন্তু সেটা আর হলোনা, এ বছর ইরি ধানের আবাদের শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখো মুখি কৃষকেরা তার পরও শেষ রক্ষা হলোনা।
কৃষকেরা ভাবছেন একে চরম লস ধানে তার উপর মহাজনের পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন কিভাবে সেই ভাবনায় কৃষকের কপালে এখন চিন্তির ভাজ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]