ক্ষিরায় একটি মুখরোচক খাবার, মাংসের সাথে ক্ষিরা'র জুড়ি নেই। ভাত, মাছ, মাংশের স্বাদ বাড়াতে এই ফলটি এখন উচ্চবিত্ত পরিবার ও মধ্যবিত্তদের খাবারের তালিকায় অংশ করে নিয়েছে।
কলারোয়ার পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতে টমেটোর পাশাপাশি ক্ষিরায় চাষটি কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মাছ চাষীরা ঘেরের পাড় ফেলে না রেখে সেটি তরকারি চাষের জন্য ব্যবহার করছেন। ক্ষিরা, বরবটি, ভেন্ডি, উচ্চে ইত্যাদি তরকারি চাষ করছে। মাছ চাষের পাশাপাশি অতিরিক্ত মুনাফা লুফে নিচ্ছেন তারা। তবে অন্য সব তরকারির দাম ভালো থাকলেও বর্তমানে ক্ষিরায়'র দাম কম থাকায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের চরম লোকসান শুনতে হচ্ছে। তবে বাজারে চলছে চরম প্রতিযোগিতা, কোন ব্যবসায়ী কিনছেন ১৬/১৭ টাকা তো অন্যব্যবসায়ী কিনছেন ১৮/২০ টাকা। এমনি জোর প্রতিয়োগিতা চলছে বাজার গুলোতে। একই বাজারে রয়েছেন ৩/৪জন প্রতিযোগী ব্যবসায়ী। নীলকন্ঠপুর, বাঁটরা, বুইতা, আহসান নগর, রাইপুর, কুশোডাংগা, ঘরচালা, সেনেরগাঁতি, ফুলবাড়ি এই সকল এলাকাগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে প্রচুর পরিমান ক্ষিরাই চাষ করেছে চাষীরা, গাছে ফলনও ধরেছে প্রচুর।
কয়েকজন চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের পাড়কে ফেলে না রেখে সবজি চাষের জন্য ব্যাবহার করছেন। সেখানে তারা ক্ষিরাই, বরবটি, ভেন্ডি, করোলা, উচ্চে ইত্যাদি তরকারির আবাদ করছেন ফলনও ভালো হচ্ছে, তবে এ বছর ক্ষিরার বাজার দর কম থাকায় চাষীরা দুশ্চিন্তা গ্রস্থ।
ক্ষিরা ব্যবসায়ী স্বদেশ মন্ডলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি প্রতিদিন গড়ে ৩/৪ শত বস্তা ক্ষিরায় ক্রয় করে ঢাকাতে পাঠান, প্রতি বস্তার ওজন ৪০কেজি। তিনি আরও জানান, এ বছর ক্ষিরার বাজার দর কম থাকায় মোটা অংকের লস গুনতে হতে পারে, তারপরে বাজারে চলছে ক্ষিরাই কেনার জোর প্রতিযোগিতা। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাজারে টিকে থাকার জন্য লোকসান করে বাজার থেকে ক্ষিরাই কিনতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ বছর কলারোয়াতে ১০ হেক্টর জমিতে ক্ষিরাই আবাদ হয়েছে। ভালো ফলনও লক্ষণীয়, তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্ষিরাই আবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে বেড়ে দুই হেক্টর।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]