টমেটো এখন বাজারে এক দামি সবজি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। অসময়ে হলে তো কথাই নেই। গ্রীষ্মকালীন টমেটো শীতের চেয়ে অন্তত চার-পাঁচ গুণ দামে বিক্রি হয় এখন। শীতেও চাষ করে ভালো লাভ করা যেতে পারে যদি আগাম চাষ করা যায়।
কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের কামারালীতে ৯০জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন নিরাপদ টমেটোর চাষ করায় শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কৃষি বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল টমেটোর ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।
কামারালীর মান্দারতলার মাঠের টমেটো চাষের ক্ষেত পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ীর অতিরিক্ত পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান, সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম, কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার তুষার কান্তি সরকার।
সেসময় সাংবাদিক জুলফিকার আলী, কৃষক নুর ইসলাম, মোসলেম গাজী, বাবলু সানা, আয়ুব সানা, আব্দুর রাজ্জাক সানা, আফসার সানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টমেটো চাষী কৃষক নুর ইসলাম, মোসলেম গাজী, বাবলু সানা, আয়ুব সানা, আব্দুর রাজ্জাক সানা, আফসার সানা জানান, 'বিঘা প্রতি লিজসহ ১লাখ ৫৫হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চাষ প্রথম শুরু এপ্রিল মাষে আর শেষ হবে নভেম্বর মাসের শেষের দিকে। ফলন উৎপাদন হবে বিঘা প্রতি ৩লাখ ৪৩ হাজার টাকা। খরচ বাদে ১লাখ ৮৮ হাজার টাকা লাভ হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেটা সম্ভব হবে।'
তারা আরো জানান, 'সপ্তাহে তিন দিন পাকা টেমেটো ক্ষেত থেকে উঠানো হয়। প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০মণ টমেটো ওঠানো হচ্ছে। এই টমেটো ঢাকা থেকে সরাসরি ব্যাপারী এসে ক্ষেত থেকে বাজার দর অনুযায়ী কিনে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে পাইকারী বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ৬০টাকায় ব্যাপারীরা কিনছে।'
কৃষকরা আরো বলেন, 'সরকার ও ব্যাংক থেকে বিনা সুদে ঋণ পেলে কৃষকরা ভাল করে টমোটোর চাষ করে লাভবান হতে পারতো।'
উল্লেখ্য, নিরাপদ গ্রীষ্মকালীন টমেটো ক্ষেত ছাড়াও কৃষি কর্মকর্তারা বাটরা সজবি ক্ষেত ও পৌর সদরের গোপিনাথপুরের পানি ফল উৎপাদন এলাকা পরিদর্শন করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]