কলারোয়ার ধানদিয়া গ্রামে ঘটক পরিচয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। প্রতারক লুট করেছে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার। প্রতারণার শিকার হয়ে দিনমজুর পরিবারটি সর্বশান্ত প্রায়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারের পার্শ্ববর্তী ধানদিয়া গ্রামের নুর হোসেনের বাড়িতে। ঘটক পরিচয়ের সেই প্রতারক নগদ ১৮ হাজার টাকা ও ২ ভরি ১০ আনা সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে।
ভুক্তভোগি নুর হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি নিজেকে ঘটক পরিচয় দিয়ে দুই থেকে তিন দিন ধরে প্রতিনিয়ত তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করছিলো যে, নুর হোসেনের মেয়েকে দেখবে এক ছেলের পরিবার। নুর হোসেনের মেয়ে সাতক্ষীরায় পড়াশুনা করে। সেই কারণে দুই থেকে তিন দিন প্রতিনিয়ত বাড়িতে আসছিলো ঘটক পরিচয়ের সেই ব্যক্তি। সোমবার মেয়ে বাড়িতে ফেরায় মঙ্গলবার ঘটক সকাল ৮টার দিকে এসে বলে ছেলে মেয়েকে দেখতে আসছে। নাস্তা ও মেয়েকে পরিছন্ন-পরিপাটি হওয়ার জন্য তাগিদ দেন ঘটক। এই কথা শুনে মেয়ের পরিবারের সদস্যদের একটু ব্যস্ততা বেড়ে যায়। নুর হোসেন বাজারে মিষ্টি ও খাবার আনতে যাবেন বলে তার স্ত্রীর কাছে টাকা চায়লে তার স্ত্রী একটি বক্সের ভেতর থেকে টাকা বের করে দেন। কিন্তু সেই বক্সটি ভুলে আর তুলেন নি। বক্সে ছিলো নগদ ১৮ হাজার টাকা ও ২ভরি ১০ আনা ওজনের গহনা। কিছু সময় পরে জরুরী কাজে বাজারে যাচ্ছেন বলে তার মোটরসাইকেল যোগে সেখান থেকে ঘটক চলে যান। ঘটকের বাজার থেকে আসতে দেরি দেখে তাকে খুঁজাখুজি করেও আর সন্ধান মেলেনি।
পরবর্তীতে সন্দেহ হলে বক্স খুলে সেখানে থাকা টাকা ও গহনার হদিস পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে বাড়ির অন্যদের ব্যস্ততার সুযোগে বক্সের সেই টাকা ও গহনা নিয়ে ঘটক চম্পট দিয়েছে।
ভুক্তভোগি নুর হোসেন জানান, ‘তার বিবাহযোগ্য মেয়ে আছে। তার বিবাহ দেবেন এমন কথা বার্তা চলছে। সেই সুযোগটি প্রতারক চক্রের সদস্য কাজে লাগিয়েছে। লুট হওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকারের বাজার মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকার মত।
এ ঘটনায় নুর হোসেন কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]