কলারোয়ায় ঘেরের পাড়ে বর্ষা মৌসুমের ক্ষিরায় চাষে বাপ্পার ফলনে আশার আলো দেখছেন চাষীরা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের ক্ষিরায় চাষে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ক্ষিরায় চাষের আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।
বর্তমানে চাষীদের ক্ষিরায় চাষের অদম্য আগ্রহের বহ্বি প্রকাশ লক্ষ করা গেছে।
উপজেলার জয়নগর, ধানদিয়া, বাঁটরা, আহসাননগর, বুইতাসহ অন্যান্য এলাকায় ঘেরের পাড় জুড়ে চোখ জুড়ানো অপরুপ সুন্দর্য্য চোখে পড়ার মত। শত শত বিঘা ঘেরের পাড়ে মাচার উপর সবুজ গাছ ও নিচে ঝুলে রয়েছে ক্ষিরায়। গত বছরের তুলনায় এবছর ক্ষিরায়ের বাপ্পার ফলন লক্ষ করা গেছে এবং ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক বেজায় খুশি।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে ঘেরের পাড়ে মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে মাচার উপর ক্ষিরায় চাষ করে কৃষকেরা অধিক লাভবান হচ্ছে।গত বছরের তুলনায় এবছর ক্ষিরার চাষের অনুকুল আবহওয়া বিরাজ করায় ও ভালো দাম থাকায় কৃষকেরা তাদের ন্যার্য মুজুরী পাচ্ছে এমনটাই জানা গেছে।
কৃষক আলমগীর গাজী জানিয়েছেন, তিনি ৩ বিঘা ঘেরের পাড়ে ক্ষিরায় চাষ করেছেন। প্রতিদিন তিনি ৩ বিঘা ঘেরের পাড়ের জমি থেকে ৬/৮ মন ক্ষিরায় উত্তোলন করেন এবং প্রতি মন ক্ষিরায় বিক্রি করেন ৮ শত/১হাজার টাকায়।
তিনি আরও জানান, বিঘা প্রতি ১৫/২০হাজার টাকা খরচে ৮০হাজার থেকে ১লক্ষ টাকা ক্ষিরায় বিক্রি হবে।
নিলকন্ঠপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি ২বিঘা ঘেরের পাড়ে ক্ষিরায় চাষ করেছেন বর্ষা মৌসুমের সেই সাথে মাছ চাষ। একই সাথে দুইটি চাষ করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারছেন তিনি এবং প্রতিটি ঘের মালিকেরা একই আশায় মাছ চাষের পাশাপাশি বিকল্প চাষ হিসাবে ক্ষিরায়, ভেন্ডি, উচ্চে, বরবটি ইত্যাদি চাষ করছে ভালো ফলও পাচ্ছেন এমনটি জানিয়েছেন।তবে অন্য চাষের তুলনায় ক্ষিরায় চাষের আগ্রহ বেশি এমনটি জানান তিনি।
কৃষি অফিসের জয়নগর ইউনিয়ন ব্লক সুপারভাইজর তাপস মজুমদার জানিয়েছেন, জয়নগর ইউনিয়নের ঘেরের পাড়ে এবছর ১৫ হেক্টর ক্ষিরায়ের আবাদ হয়েছে। এবছর আবহওয়া অনুকুলে থাকায় ক্ষিরায় আবাদ ভালো হয়েছে এবং বাজার দরও অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]