কলারোয়া উপজেলার ২নং জালালাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শংকরপুর গ্রামের মাছের ঘের মালিকদের নিজস্ব অর্থায়নে শংকরপুর থেকে রায়পুরের মানাঘাটা পর্যন্ত খাল পরিস্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।
পাঁচনল, জালালাবাদ, নারায়নপুর, শংকরপুর বিলের পানি যাওয়ার একমাত্র খালে কিছু অসাধু মাছ আহরণকারী অবৈধভাবে বাঁশের পাটা দিয়ে পানির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার কারণে শংকরপুরের বহু মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম।
একদিকে আকাশের অতিবৃষ্টি অন্যদিকে অবৈধভাবে পাটা দিয়ে মাছ ধরার কারণে শংকরপুর গ্রামের অধিকাংশ মাছের ঘের পানিতে ডুবে যাওয়ার লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ঘের মালিকরা জানান।
মাছচাষী মাহমুদুল হাসান বলেন, বাটরা, রায়পুর গ্রামের অধিকাংশ ঘের মালিকরা তাদের ঘেরের কাদা/নেল কেটে খালে দেয়, এতে করে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সরকারী ভাবে বহুদিন ধরে এ খাল খনন ও পরিষ্কার করা হয় না। নেই কোন তদারকীও।
আরেক মাছচাষী আলফাজ হোসেন বলেন, বর্ষাকালে, বাটরা, রায়পুর, কুশোডাঙ্গা, শিবনগর, নতুনগার সহ আশপাশের গ্রামের মানুষেরা কয়েকশত বাশের পাটা, পলিথিন, নেট দিয়ে খালের মধ্যখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছ ধরে। যার ফলে আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মাছের ঘের ডুবে যায় এবং লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
খাল পরিস্কার করার শংকরপুর ওয়ার্ডের মেম্বার মাষ্টার শফিউল আজম উপস্তিত থাকলেও খাল খনন ও পরিস্কারের বিষয়ে সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
জালালাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে জানান, খাল খনন ও পা-টা পরিষ্কারের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। অতি দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]