কলারোয়ায় স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে। অতপর বখাটের খপ্পরে পড়ে সেই স্কুল ছাত্রী মৃত্যু পথের যাত্রী বলে অভিযোগে প্রকাশ।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে কলারোয়া থানায় ৪ জনের নামে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে ও থানায় দেয়া অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো গ্রামের এক দিনমজুর মেয়ে (১৬) কে স্কুলে যাওয়ার পথে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আবু হাসান সজিব (২৬) উৎত্যক্ত করতো। বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারকে জানালে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারী-১৮ তারিখ সকাল ১০টার দিকে স্কুলের সামনে থেকে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। ওই মেয়ের পিতা ও মাতা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর করলে সে ১৪ জানুয়ারী-১৮ তারিখ সকালে বাড়ীর সামনে মেয়েকে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নিয়ে উভয় পরিবারের উপস্থিততে মেয়ের বয়স কম হওয়ায় মৌলভী দিয়ে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। প্রায় ২বছর যাবৎ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে তারা ঘর সংসার করতে থাকে। এর মধ্যে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে সজিবের পরামর্শে কয়েক দফায় গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়। একপর্যায়ে সে ভীষন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গত ৫ অক্টোবর-২০ তারিখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় তার শরীরে ক্যান্সারের জীবানু ধরা পড়েছে। একথা শুনে সজিব তার স্ত্রীকে হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে আসলে মেয়েটি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাপের বাড়ীতে চলে আসে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, এরপর থেকে তার কোন খোঁজখবর নিচ্ছে না, ভরনপোষন বা খরচ খরচা কিছুই দিচ্ছে না মেয়েটির স্বামী বা তার পরিবার।
এ বিষয়ে নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানে কাছে বিচার চেয়েও কোন ফল হয়নি।
বর্তমানে মেয়েটির অবস্থা খারাপ পর্যায়ে, কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।
শুক্রবার বিকালে এ সকল ঘটনা উল্লেখ্য করে খোরদো গ্রামের ভুক্তভোগি মেয়েটি বাদী হয়ে তার স্বামী আবু হাসান সজিবসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]