সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলা ও হত্যার উদ্দেশ্যে ৬ মাসের অন্তস্বত্বা গৃহবধুকে মারপিটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ করেন কলারোয়া উপজেলার বড়খোর্দ্দ গ্রামের গোলাম আলীর পুত্র ভুক্তভোগী জাকিরুল ইসলাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে একই এলাকার মৃত. আইনুদ্দীন গাজীর পুত্র দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফের ভাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানুল গাজীর সাথে আমার বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ৪ বার তারা আমার ও আমার পরিবারের উপর নগ্ন হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে মামলাও চলমান রয়েছে। তারপরও মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্যে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন আমানুল গাজী ও তার ভাই বিএনপি নেতা মনিরুল গাজী। একপর্যায়ে গত ৮ জানুয়ারি আমানুল ও মনিরুল গাজীর নেতৃত্বে একই এলাকার বাবুল ওরফে আলমগীর কবীর, রিফাত, আলম দফাদার, কবির দফাদার, সাঈদুজ্জামান দফাদার, মিজান, মোস্তাক দফাদার, সুজাউদ্দীন ও শরিফুল দফাদারসহ ভাড়াটিয়া ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এতে আমার ৬ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উল্লেখিত মনিরুল স্ত্রীর তলপেটে আঘাত করেন। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারপিট করে গুরুতর জখম করে হত্যার চেষ্টা চালান। সে সময় দ্রæত আমার ভাগ্নে আল আমিন এগিয়ে আসলে তাকেও তারা মারপিট করতে থাকেন। এ সময় আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় হুমকি প্রদর্শন করে বলেন সুযোগ পেলে পরিবারের সকলকে তারা হত্যা করবে। তাদের মারপিটে আমি আমার স্ত্রীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার মাথায় ৬টি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া আমার স্ত্রী এখনো পর্যন্ত সুস্থ হতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, উক্ত বিএনপি ক্যাডাররা আমার ভাগ্নে আল আমিনকেও হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার নগ্ন হামলা চালিয়েছেন। গত ডিসেম্বর মাসেও আমার ভাগ্নে আল আমিনের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করেন। এঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও উল্লেখিত ব্যক্তিরা আটক না হওয়ায় তারা প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে না নিলে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। এমনকি অস্টেলিয়া প্রবাসী ভাগ্নে আবু হানিফকেও বাড়িতে আসলে খুন জখমসহ ক্ষয় ক্ষতি করবে মর্মে মোবাইলে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, উক্ত হামলায় দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মফে নিজেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমরা ওই চেয়ারম্যানের বিএনপি ক্যাডার ভাইদের অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে উঠেছি। চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ করলেও ভায়েরা সবাই বিএনপির বড় বড় পদ দখল করে আছেন। ভাইয়ের ক্ষমতার দাপটে তারা আমাদের জিম্মি করে রেখেছেন। আমিসহ আমরা পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় উক্ত হামলাকারীদের হাত থেকে তিনিসহ তার পরিবারকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রীসহ সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]