সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৪দিনের টানা হালকা থেকে মাঝারী ও ভারী বৃষ্টিপাতে কারনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার পৌরসদরসহ ১২টি ইউনিয়নের ৭২০ হেক্টর আমন বীজতলা ১২০০ হেক্টর ফসলি জমি। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার সারাদিনের অনবরত বৃষ্টিতে এলাকার নিম্ন অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।এলকাবাসীরা জানান বৃষ্টি হলেই এলাকা তলিয়ে যায় এবং পানিবন্দি অবস্থায় চরম দূভোর্গের মধ্যে বসবাস করতে হয়। কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে উপজেলায় শতশত পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়া উপজেলার জাপাঘাট, কাজীরহাট এলাকায় ওল চাষীরা ও পটল চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে সবজিখেত ও আমনের ধানের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। একই সঙ্গে ভারি বৃষ্টিতে উপজেলার দেয়াড়া এলাকার কপোতাক্ষ বেড়িবাঁধে ভাঙন নিয়েও দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
উপজেলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, টানা বৃষ্টিতে ছোট-বড় প্রায় শতাধিক পুকুর, ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে।তবে এভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হলে মৎস্য ঘেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, জমিতে বর্তমানে পুঁইশাক, কাঁচামরিচ, করলাসহ নানা ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে যাওয়ায় সবজিচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে কোঠর লকডাউন ও অন্য ভারী বৃষ্টিপাতের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ বিপাকে পড়েছেন। পানিবন্দী হয়ে ভোগান্তিতে রয়েছে অসংখ্য মানুষ।
দিনমজুর ভ্যানচালকসহ নানা পেশার মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।উপজেলার জাপাঘাট কৃষি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন জানান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে এ বছর ফসলে ভাল দাম পাইনিই, সেই লছলাভ সামলাতেই না সামলাতেই আবারও আকাশ বৃষ্টির ভারী বর্ষনে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার মানুষ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]