সারাদেশের ন্যায় কলারোয়ায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস শ্রমজীবি ও খেঁটে খাওয়া মানুষদের। শ্রম বিক্রির টাকায় সংসার চালানো দুরুহ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। শ্রম বিক্রির ৩/৫শত টাকা দিয়ে ১লিটার তেল কিনে বাকি টাকা দিয়ে কাঁচা বাজার ও মাছ কিনে হাত শুন্য। অপরদিকে সংসারের অন্যান্য খরচ তো পড়েই রইলো। দ্রব্যমূল্যের উর্ধোগতি বাজারে কিভাবে দিনমজুরীর সিমিত আয়ে সংসারের ঘানি টানবেন সেই চিন্তায় ধ্যানমগ্ন থাকেন খেঁটেখাওয়া দিন মজুর পরিবারের কর্তারা।
সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যাবসায়ীরা ছাড়া ভালো নেই বর্তমান সময়ের শ্রমজীবি ও খেঁটেখাওয়া পরিবার গুলো। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতেও শ্রমিকের মজুরী নির্ধারিত রয়েছে ৩/৫ শত টাকার মধ্যো। তারউপর শ্রমজীবি মানুষদের চাহিদা ও খরচে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সবমিলিয়ে শত অভাব অনটনের মধ্যো দিয়ে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলোর দিন শেষে মিথ্যা ভালো থাকার চেষ্টা।
অপরদিকে কলারোয়ার মাঠগুলোতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে সেখানেও মোটা অংকের খরচ। ধারদেনা করে সেই খরচও সামলাতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধোগতিতে মজুরীর টাকায় সংসার চলেনা তার উপরে লম্বা খরচের বহর, সংসারের কর্তা নিরবে বয়েই চলেছে। অপরদিকে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমার নামি নিচ্ছেনা। এভাবে চলতে থাকলে নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো একটা সময়ে দেনার দায়ে নানা অপকর্ম, দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে মাদকে আসক্ত, মানুষিক রোগাক্রান্ত এমন নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
কলারোয়ার জয়নগরের দিনমজুর ইসমাইল ঢালী জানিয়েছেন, তিনি সহ তার এক সন্তান ও তার স্ত্রী তিন জনে দিন মজুর। মাঠে নেই কোন ফসলি জমি, অন্যোর জমিতে কামলা খেটে খাই, ২৫০/৩০০টাকা মজুরী পায়, নিত্য পন্যোর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার সওদা করে খুব বেশি টাকা থাকে না কাছে তার উপর আরেক সন্তানের লেখাপড়ার খরচের জন্য প্রতি মাসে ২হাজার টাকা দিতে হয়। সব মিলিয়ে অতি কষ্টে দিনানিপাত করছেন ইসমাইলের পরিবারটি। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানিয়েছেন সত্তর বাজারের সকল নিত্য পন্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
জয়নগরের আরেক দিনমজুর চিরঞ্জিত ঘোষ জানিয়েছেন, ৩ জনের সংসার। মা, বাব ও আমি। বাবা প্যারালাইজড কোন কাজ করতে পারেন না মাঠে অল্প কিছু জমি রয়েছে। আমি নিজে লেখাপড়ার পাশাপাশি দিনমজুরী করে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছি। নিত্য পন্যোর দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনমজুরীর টাকায় সংসার চালাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনিও নিত্যপন্যোর বাজার নিয়ন্ত্রনের আকুতি জানিয়েছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]