বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে বুধবার শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যালোকে (পৃথিবী) আসেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে স্বর্গে বিদায় নেন নৌকায় চড়ে। যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে। বুধবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে বিকেল থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।
সারাদেশের ন্যায় কলারোয়া উপজেলার ৪৬টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বোবৃহৎ দূর্গোৎসব। সর্বমোট ৪৬টি পূজামণ্ডপে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
মণ্ডপগুলোতে সকাল থেকে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।বিকেলের দিকে এ উপস্থিতি হয় ভিড়ে পরিণত।উৎসবকে ঘিরে কলারোয়া উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কলারোয়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। তারা জানান,দুর্গোৎসবে করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে পদচারনায় মুখরিত হয়েছে মন্দির-মণ্ডপ। উৎসবকে ঘিরে মানুষের মাঝে বিপুল আনন্দ বিরাজ করছে।দেবী মায়ের কাছে প্রার্থনা, দেশ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার সুখ ও সমৃদ্ধি হোক।
বিজয়ার দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে। দশমী মানেই দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া।অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর।সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী এবার দেবীদুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী)এসেছেন।এতে করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে স্বর্গে বিদায় নেবেন নৌকায়।যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।এমনটা মনে করেন হিন্দুধর্মের অনুসারীরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]