কলারোয়া উপজেলা ব্যাপি বইতে শুরু করেছে শারদীয়া দূর্গাপূজার আমেজ। কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপুজা।
শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা প্রস্তুত কররতে মৃৎ শিল্পিরা। একই ব্যস্ততা ডেকারেটারের লোকজন সহ আয়োজক কমিটির।
শরতের আগমণীতে দুঃখ দৈন্য নিপীড়িত মর্ত্যলোকের মানব মাঝে মহাশক্তির অধিকারীনিরুপে আবির্ভূত হন শ্রীশ্রী মহামায়া মা দূর্গা।
তখন আলোকিত হয়ে ওঠে দশদিশি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবছর কলারোয়া উপজেলা ব্যাপি ৪১টি সার্বজনীন দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে।
আগামি ২১ অক্টোবর পঞ্চমীতে বোধন ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে মর্ত্যধামে দেবীপক্ষের আগমন ঘটবে।
'ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’ ঢাক ও কাসির বাজনা ছাড়াও মায়েদের কপাল সিন্দুরে রাঙানোর মধ্য দিয়ে ২৬ অক্টোবর সোমবার বিজয় দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপুজা।
উপজেলার মন্দির ঘুরে দেখা গেছে- অনেক স্থানে শিল্পীরা মাটির কাজ শেষে প্রতিমা রং করার পরে তারা পূজা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায় জানান- উপজেলায় ৪১টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এর মধ্যে পৌর সদরে ৮টি, জয়নগর ইউনিয়নে ৭টি, জালালবাদ ইউনিয়নে ২টি, কয়লা ইউনিয়নে ২টি, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নে ২টি, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে ৩টি, সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নে ২টি, চন্দনপুর ইউনিয়নে ২টি,
কেরালকাতা ইউনিয়নে ২টি, হেলাতলা ইউনিয়নে ৩টি, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩টি, দেয়াড়া ইউনিয়নে ৫টি।
এরমধ্যে ১৬টি পূজা মন্ডপ ঝুকিপূর্ন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- পৌর সদরের (১)তুলসীডাঙ্গা ঘোষপাড়া মাতৃ পূজা মন্দির, (২)ঝিকরা হরিতলা পূজা মন্ডপ, (৩)মুরারীকাটি দক্ষিণপাড়া পূজা মন্ডপ, (৪)মুরারীকাটি দক্ষিণ হরিসভা পূজা মন্ডপ, (৫)গোপিনাথপুর দক্ষিণপাড়া পূজা মন্ডপ, (৬)জয়নগর মাতৃ মন্দির পূজা মন্ডপ, (৭) জয়নগর কর্মকার পাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, (৮)বাকসা দাসপাড়া পূজা মন্ডপ, (৯)বাকসা সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, (১০)সোনাবাড়ীয়া মঠমন্দির পূজা মন্ডপ, (১১)গয়ড়া-চন্দনপুর সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, (১২) কেরালকাতার ঠাকুরবাড়ী সার্বজনীন দূগা মন্দির, (১৩)কুশোডাঙ্গা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, (১৪)পাটুলিয়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, (১৫)পাটুলিয়া সনাতনরা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, (১৬)দেয়াড়া ঘোষপাড়া রাধাগোবিন্দ মন্দির।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী জানান, এবার কয়েকটি মন্ডপে অতিরিক্ত আকর্ষণ থাকায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় থাকতে পারে। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
দর্শনার্থীরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা দর্শণ করতে পারে সেজন্য স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও কঠোর অবস্থানে থাকবে।
যাথাযোগ্য উৎসাহ ও উদ্দীপনা ও আড়ম্বরের সঙ্গে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ পূজা কে ঘিরে যাতে কেউ কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য প্রসাসনের দিক তিন স্তরের থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গেছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]