কলারোয়ার জয়নগর, ধানদিয়া বন বিভাগের দেওয়া বৃক্ষ পরিচর্যার অভাবে বিলুপ্তপ্রায়। গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান প্রতিপাদ্য বিষয়টি মুখে মুখে থাকলেও বাস্তবে অন্য চিত্র।
২৯মে শনিবার বিকালে সরেজমিনে ধানদিয়া খেঁয়া ঘাটে দেখা গেছে, ছাগলে খাচ্ছে নারিকেল গাছের চারা। শুধু তাই নয় আশে পাশে ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ গাছের চারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিছু চারা ধুক-ধুক করছে আর যে গাছের চারাগুলো জীবিত রয়েছে সেগুলো ছাগল গরু দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে এলাকাবাসীরা। সঠিক পরিচর্যা ও নজর দারির অভাবে গাছগুলো আজ বিলুপ্তপ্রায়।
২/৩ বছর আগে বন বিভাগ কর্তৃক কপোতাক্ষ নদীর ধার দিয়ে ও জয়নগর সুইচ খালেরর দুই ধার দিয়ে ২ কিঃ মিঃ জুড়ে লাগানো হয় ফলজ, বনোজ ও ওষধি গাছের চারা। তার মধ্যে অর্থের দিক দিয়ে মূল্যবান গাছ নারিকেল, প্রতি পিচ নারিকেল চারার বাজার মুল্য ৪/৫শত টাকা।সঠিক তদারকি ও পরিচর্যার অভাবে শত শত মূল্যবান নারিকেল গাছের চারা বিলুপ্তপ্রায়। অন্যদিকে খালের পাড়জুড়ে ফলজ, বনোজ ও ওষধি গাছের চারাগুলোর একই অবস্থা।
এলাকার সচেতন মহল বলছে গাছের চারাগুলো পরিচর্যা ও নজরদারির অভাবে নদীর পার্শ্ববর্তী বসবাসরত কয়েকটি বাড়ির ছাগল, গরু প্রায় সময় ছেড়ে দেওয়া থাকে, আর সেই সব ছাগল, গরু চারা গাছ গুলো খেয়ে সাবার করছে। অনেকে দেখেও না দেখার ভান করে আবার কেউ কেউ ছাগল, গরু গাছ খেতে দেখলে তাড়িয়ে দেয়। তারা আরও বলছে এভাবে চলতে থাকলে যে চারা গাছগুলো অবশিষ্ট রয়েছে যেগুলো নিশ্চিন্ন হয়ে যাবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দিয়ে নিজ দায়িত্বে গাছের পরিচর্যা ও নজর দারির পরামর্শ দেন তারা।
অন্যদিকে বন বিভাগ কলারোয়ার কর্মকর্তা ইউনুছ আলী জানান, নদী ও খালের ধার দিয়ে লাগানো গাছ গুলো দেখভাল ও পরিচর্যার জন্য এলাকায় কমিটি করা হয়েছিলো। তাদের দায়িত্ব এগুলো দেখার কিন্তু তাদের বারবার অবহিত করলেও তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে না।
তিনি আরও জানান, কলারোয়ার বিভিন্ন স্থানে বন বিভাগের লাগানো গাছ রয়েছে সেগুলো সব তত্বাবধান করতে হয়। প্রতিদিন/সর্বক্ষন থাকে দেখভাল করা তো সম্ভব নয়। এলাকাবাসিদেরও তো নূন্যতম দায়িত্ব থাকে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]