কলারোয়ায় মৎস্য ও সবজি চাষ করে সময় পার করছেন, অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
উপজেলার লাঙ্গল ঝাড়া ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আঃ ওহাব(৬৫) ম্যানেজার।
তিনি একান্ত আলাপচারিতায় "দৈনিক পত্রদূত" কে জানান,বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত কর্মরত থাকাকালিন সময়ে,চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁর কাজ করার সুযোগ হয়েছে,বিভিন্ন মানুষের সাথে চলাফেরার অভিজ্ঞতায় ২০১২ সালে চাকরির পাশাপাশি ছোট পরিসরে মাত্র ২০শতক জমিতে শুরু করেন মাছ চাষ।
২০১৭সালের সেপ্টেম্বরের অবসরে যাওয়ার পর তিনি চিন্তা করেন,বিলাস বহুল জীবন যাপন না করে কিভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা যায়। সেই ভাবনা থেকে তিনি মৎস্য ঘেরের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন, এখন তার ঘেরের জমির পরিমান দুই একর। তিনি মৎস্য ঘেরে কার্প জাতীয় মাছের চাষ করছেন। পাশাপাশি ৫০ শতাংশ জমি নিয়ে শুরু করেন সবজির চাষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিনি পতিত জমিতে চাষ করছেন মেটে আলু,আরও আছে ডাটা শাক, পুইশাক, হলুদ, ওল, পেপে এবং মৌসুমে সবজি।
মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে রোপন করেছেন বিভিন্ন প্রজাতির কলাগাছ ও আমগাছ।কি এক নয়ন জুড়ানো সবুজের সমারোহ। শুধু কলা বিক্রি করেন মাসে সাত থেকে আট হাজার টাকা।
পারিবারিক বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, দুই ছেলে দুই মেয়ের জনক তিনি। বড় ছেলে মেরিন চিপ ইঞ্জিনিয়ার, ছোট ছেলে আমেরিকায় ডক্টরেট করছে মেয়েরা অধ্যায়নরত।
আপনি আরাম আয়েশি জীবন বাদ দিয়ে এই বয়সে কেন মাঠে পড়ে আছেন, এমনই একটি প্রশ্ন করলে তিনি জানান,বসে বসে অলস সময় না কাটিয়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা করছি পাশাপাশি কিছু লোকের তো কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে।এ ছাড়া টাটকা শাক সবজিও মৎস্য উৎপাদন করে নিজের ও এলাকার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে পাইকারি বিক্রি করতে পারছি এটাই আমার আনান্দ।
তিনি আরো জানান,তার কৃষি কাজের জন্য কৃষি অফিস থেকে বীজ সার ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন কৃষিবিদরা।
আঃ ওহাব নামের এই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বৃদ্ধ বয়সের এই নেশা ও পেশা থেকে শিক্ষা নিয়ে,অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকের জীবনের বাঁক ঘুরতে পারে এমনই আশা সূধীজনদের।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]