আসন্ন কুরবানি ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে চলছে পশু কেনাবেচা। তবে এ বছর করোনার কারণে তেমন একটা সাড়া পাচ্ছেন না খামারিয়া। আর তাই তো চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। এ কারণে কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সাতক্ষীরার কলোরোয়া উপজেলার কেরালকাতা গ্রামে বিশাল একটি ষাঁড়ের দাম হাঁকানো হচ্ছে ২০ লাখ টাকা।
ওই ষাঁড়টির সঙ্গে আরও একটি ষাঁড় ফ্রি দেয়া হবে।
ষাঁড়টির মালিক শখ করে এটির নাম দিয়েছেন ‘রাজা বাবু’। আর যেটা ফ্রি দেয় হবে তার নাম ‘অফার’।
এ বছর উপজেলার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বলেই ধরা হচ্ছে ষাঁড়টিকে। তাই রাজা বাবু কিনলে সঙ্গে ফ্রি অফার দেয়া হয়েছে। আর এ অফার ছোট কিছু নয়; বরং আরো একটি প্রায় ৭০০ কেজি ওজনের ষাঁড়!
জানা গেছে, বিশালাকার এই ষাঁড়ের জন্য প্রতিদিনের বাজেট প্রায় এক হাজার ৫০০ টাকা। প্রতিদিন খাবারের মেন্যুতে থাকে কলা, কমলালেবু, চিড়া, ছোলা, ঘাস, শরবতসহ আরো অন্যান্য দামি খাবার।
খামারি শাহাজান আলী জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি বাড়িতে থাকা নিজস্ব গাভীর প্রজননে হওয়া। এখন এটির বয়স তিন বছর চার মাস। লালন-পালনের পর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ষাঁড়টির ওজন বেড়ে হয়েছে ৩০ মণ। তবে করোনার কারণে ভালো দাম পাচ্ছেন তাই ঘোষণা দিয়েছেন ‘রাজা বাবু’কে যে কিনবে, এর সঙ্গেই দেয়া হবে প্রায় ৭০০ কেজি ওজনের ‘অফার’ নামের আরেকটি ষাঁড়।
ক্রেতারা রাজা বাবুর দাম করেছিলেন ১৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। তবে একটু বেশি দামের আশায় এর সঙ্গে 'অফার' নামের ষাঁড়টিকেও দেবেন তিনি।
খামারের তত্ত্বাবধায়ক সাইদুর রহমান জানান, এখন বিশাল এই ষাঁড়টির পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। দিনে কমপক্ষে তিন থেকে চার বার গোসল করাতে হয়। সারাদিন বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে হয়। তবে দেশীয় পদ্ধতিতে পশুপালন করায় বাড়তি রোগ বা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। সারাদিনই সন্তানের মতো গরুটির যত্ন করতে হয়। রাজা বাবুসহ খামারে মোট তিনটি গরু রয়েছে। তবু কারো যত্নের কমতি নেই। রাজা বাবু প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ৫০০ টাকার খাবার খায়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]